নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের উত্তরসূরীদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, জনগণের শত্রু; আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান প্রতিবন্ধক।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির শেষদিনে মিরকাদিম পৌরসভার উদ্যোগে দোয়া, মিলাদ, এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান বাসু, মুন্সীগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি মহাসীন মাখন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, শফিউদ্দিন শফি, কাউন্সিলর জলিল মাদবর, মকবুল হোসেন, দ্বীন ইসলাম, আওলাদ হোসেন, আঃ রহিম বাদশা, মনোয়ার হোসেন জনি, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, শ্রমিক লীগ শিল্পাঞ্চল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, কাউন্সিলর ইদ্রিস আহম্মেদ, আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর একটি শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার দুশমন প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকদের হাতে আমাদের মহান পথ প্রদর্শক, বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, সমকালীন বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের পথিকৃৎ, মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম সুহৃদ, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ উপনিবেশবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ ও বর্ণ বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র মানবতার ইতিহাসের ঘৃণ্য ও কলঙ্কিত একটি অধ্যায়। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যাই করেনি, আইন করে ১৫ই আগস্টের খুনিদের সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। আইন সবার জন্য সমান। তবে দেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছিল। খুনি মোশতাক-জিয়া চক্র প্রথমে ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং পরবর্তীতে তা আইনে পরিণত করে।
তিনি বলেন, ভাবতে পারেন যিনি একটি স্বাধীন দেশ- একটি সার্বভৌম ভূ-খন্ড, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা উপহার দিলেন সেই জাতির সেই মহান স্থপতির খুনি, তারই কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ অবুঝ শিশু শেখ রাসেল, আত্মীয় সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধু আরজু মনি, স্ত্রী বেগম মুজিবসহ ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার করা যাবে না। এটা কোনো নরক রাজ্যের উপাখ্যান নয়। এটা এই বাংলাদেশে কিছু নরকের কীট, নরপশু বেইমান জাতিদ্রোহী কর্তৃক সংঘটিত ঘটনা। জাতি হিসেবে আমাদের ললাটে কলঙ্কের কালিমা এঁকে দিয়ে গেছে সেই ঘাতক নরপশুরা।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্তরসূরীদের রাজনীতিতে কোনো জায়গা হতে পারে না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের উত্তরসূরীদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, জনগণের শত্রু; আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান প্রতিবন্ধক।