নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় লাখ টাকা যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় স্বামী মো. কাইয়ুম(৩০) মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন স্ত্রী হালিমা বেগম (২২)।
এ ঘটনার গতকাল রোববার বিকালে গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার হালিমা বেগম।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও থানার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. কাইয়ুম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মনারকান্দি গ্রামের মো. শাহজালালের মেয়ে হালিমা বেগমের। ৬বছর আগে বিয়ে হলেও বিয়ের পর থেকে স্বামী কাইয়ুম মিয়া দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী হালিমা বেগম কে নির্যাতন করে আসছিলেন। এভাবে কয়েক মাস ধরে নির্যাতন চলছিল। সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে কাইয়ুম মিয়া তার স্ত্রী হালিমা বেগম কে যৌতুকের দাবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখেন।
পরে খবর পেয়ে হালিমা বেগমের বড় বোন আমেনা বেগম এসে তাকে ঘর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে উপজেলা হাসপাতালে বেডে কাতরাচ্ছেন ওই গৃহবধূ।
নির্যাতনের শিকার হওয়া হালিমা বলেন, বিয়ের সময় তাকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ফের আবার দুই লাখ টাকা চাচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। কীভাবে তাকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেবো। এ নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ ও মারধর করে আসছিল স্বামী কাইয়ুম মিয়া। গত শনিবার আবারও ওই টাকা চেয়ে আমাকে বেদম মারপিট করে। আমার সারা শরীরের কোথাও মারতে বাকি রাখেনি। হাসপাতালে আমার খোঁজও কেউ নিতে আসেনি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে কাইয়ুম মিয়া বলেন, এসব মিথ্যা, আমার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারধর করিনি। এটা পারিবারিক বিষয়।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী জানান,একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।