নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়। প্রার্থীদের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।
গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নাজিরচর গ্রামের বেপারী বাড়িতে নব-নির্বাচিত এমপি হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে পরাজিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থকরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হামলায় আহত ফারুক বলেন, আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক ছিলাম। প্রথম থেকেই নৌকা সমর্থক হোসেন্দী এলাকার মাহবুব মিয়ার লোকজনের সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। নির্বাচনে ফয়সাল বিপ্লব জয়লাভ করায় তারা আমাদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় আমরা আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেছিলাম। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আনন্দ মিছিল বের করার আগ মুহূর্তে মাহবুব মিয়ার ছোট ভাই সৈকত বাবুর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন আমাদের বাড়ি এবং দোকানে হামলা চালায়। প্রথমে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারপর একের পর এক বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাট চালাতে থাকে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আল আমিন, বাবুল মিয়া, আলেক মিয়া, জাকির হোসেনের বাড়ি এবং তিনটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তারা। আমরা তাদেরকে বাধা দিলে নারীসহ অন্তত ১১ জনকে মারধর এবং কুপিয়ে জখম করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেট এবং ঘরের মূল্যবান সম্পদ লুট করে তারা। এসময় এলাকা থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলে তৎক্ষণাৎ চেয়ারম্যান মহোদয় গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। এতে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে বিলম্বে পৌঁছানোর কারণে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে লুটপাট ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রামদাসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে গ্রেপ্তারপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।