নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণির পূর্নাঙ্গ বই হাতে পাবে। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে ডা. দীপু মনি বলেন, বিগত অতিমারি ও বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও বছরের প্রথম দিন আমরা বই উৎসব করতে পেরেছি এটাই একটি বড় বিষয়। কিন্তু সেটাকে পাশ কাটাবার জন্য নানান রকম কথা বলা হচ্ছে। আমি মনে করি প্রতিটি শিশুই বই পেয়েছে। তবে যে শিশু পাঁচটি বই পাওয়ার কথা, সে তিনটি বই পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর বই ছাপানোর জন্য বিদেশ থেকে কাগজ আনার কোনো সুযোগ ছিল না। আমাদের যে কাগজ ছিল সেটি দিয়েই বই ছাপাতে হয়েছে। আর এটির মান একেবারে খারাপ হওয়ার কথা নয়। শুধামাত্র কাগজের উজ্জ্বলতা কম হতে পারে। এটিতে কোনো সমস্যা নয়। কারণ কাগজে বেশি উজ্জ্বলতা হলে চোখের জন্যেও ভালো হয় না। বিদেশেও যখন বই ছাপা হয়, তখনও উজ্জ্বলতা কমিয়ে বই ছাপানো হয়। আমাদের দেশে অনেকেই মনে করেন কাগজ যতো বেশি সাদা হবে ততোই ভালো।
তিনি আরও বলেন, আগে একটি বই অনেকজন শিক্ষার্থী পড়েছে। এখন একটি বই একজন শিক্ষার্থী একবছরই শুধু পড়ে। সুতরাং এই বই নিয়ে বড় ধরণের কোনো অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। আমাদের যে কোনো বিষয় নিয়ে গেল গেল বলে রব উঠে। কিন্তু সেটি সত্যিকার অর্থে দেখে এবং তার গুণাগুণ বিচার না করে, সেটি কেন করা হয়েছে, কি ধরণের সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কেউ মাথা ঘামাই না।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন প্রমুখ।