নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুকুটিয়া এলাকার টুনিয়ামান্দ্রা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের লুৎফর রহমানের খানের পুত্র অমিত খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একই গ্রামের শুকুর বেপারীর পরিবারের ওপর প্রথম হামলা চালায়। এতে হাজী শুকুর বেপারী (৭০), তার স্ত্রী মাসুদা বেগম (৬০) পুত্র শাহিন (৪০), মঈন (৩৫), রুহুল আমিন (৩২) ও ৫ জন প্রতিবেশীসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় মঈনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, প্রায় মাস খানেক আগে টুনিয়ামান্দ্রা খেলার মাঠ সংলগ্ন শুকুর বেপারীর বাগানবাড়িতে অমিতের নেতৃত্বে কয়েকটি গাছ কর্তন হয়। এ নিয়ে অমিত গ্রুপের সাথে শুকুর বেপারীসহ তার ছেলেদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠকে বসলে অমিত গ্রুপ ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরেই গত মঙ্গলবার সকালে অমিতের নেতৃত্বে তার ভাই জুনায়েত (২৫) সহযোগী ইলিয়াস (২৪), লিয়ন (২২), লিয়াকত (২৬), রিফাত (২৩), সোয়াদ (২০), তাজল (২৭), অয়ন (২৫) সহ ১৫/১৮ জন মিলে প্রথমে মঈনের ওপর হামলা চালায়। মঈনকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরেও হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হয়।
কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, হামলার কিছুক্ষণ পরেই শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের উপস্থিতিতেই অমিত গ্রুপ পুনরায় হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় এলাকাবাসীর সাথে অমিত গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে শ্রীনগর থানার ওসি অপারেশন কামরুজ্জামান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মোকশেদুর রহমান মোকশেদ বলেন, গাছ কর্তনের ঘটনায় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ মিলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। অমিত গ্রুপ তা মানেনি। বিষয়টি এলাকার সবাই অবগত আছেন। আজকের (মঙ্গলবার) হামলার ঘটনাটি অতি দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়েতুল ভুইয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।