নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে সরকারী ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নির্দেশনা মতে মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি বন্ধ রেখে উপজেলা ও জেলার মানুষগুলোকে সতর্ক ও সচেতনসহ সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে শ্রীনগর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা ব্র্যাক। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত ২২ মে তাদের মাইক্রোফাইন্যান্সের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ লিফলেট বিতরণ, জেলা, উপজেলা, পাড়া, মহল্লায় মাইকিং, মসজিদ, মন্দিরে হাত ধোয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার এবং হাসপাতাল ও ঔষধের দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বৃত্ত অঙ্কন করে ব্র্যাক। তাছাড়া গ্রাহকদের নিরাপত্তায় আর্থিক লেনদেনের জন্য নতুন বিকাশ ওয়ালেট চালুকরণ উদ্ধুদ্ধ করা হয়। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে শ্রীনর উপজেলায় ২ হাজারসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার ৯ হাজার জনকে বিকাশের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয় প্রদান করা হয়। মৃত সদস্যদের নমিনীকে বীমা প্রদান ও মাসিক মুনাফার লভ্যাংশ বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে শ্রীনগর ব্র্যাক। গত ১০ মে এমআরএ কর্তৃক ঋণ কার্যক্রম নির্দেশনা থাকলেও অন্যান্য এনজিও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করলেও ব্র্যাক তাদের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির সিনিয়র পরিচালক মহোদয় গ্রাহকদের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে মাঠ পর্যায়ে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগামী ১১ মে জুন বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন ব্র্যাক শ্রীনগর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা। তবে স্বেচ্ছায় প্রণোদিত কিস্তি দিতে আগ্রহী সদস্যদের বিকাশ ওয়ালেট এর মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা করে ব্র্যাক।
ব্র্যাক শ্রীনগর এলাকা ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে আমাদের ব্র্যাক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে এতেই আমরা ধন্য। ব্র্যাক শুরুতেই সাধারণ মানুুষের জন্য কাজ করে আসছে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে ব্র্যাকের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে ব্র্যাকের গ্রাহকবৃন্দসহ উপজেলার সুধীজনেরা।
করোনাকালীন মহাসংকটে শ্রীনগরে ব্র্যাকের প্রশংসনীয় ভূমিকা
আগের পোস্ট