নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস মোকালেবায় নিয়োজিত প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল সম্মুখসারির যোদ্ধাদের দৃঢ় মানসিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে জনগণের সেবা করতে হবে। গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোনেম, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, হরগঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, পাবলিক প্রসিকিউটর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বিশ^-মানব আজ এক মহাসংকটে নিপতিত। মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমাদের এই বিশ^ এর আগে এমন ভয়াবহ সংকটের সম্মুখিন হয়নি। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে চিকিৎসাধীন সকলের আশু সুস্থতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসন, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশবাহিনীর সদস্যসহ যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে আবারও কাজে নিয়োজিত হয়েছেন সকলকে মুন্সীগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন। প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। মানুষের কল্যাণে বহু মাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। আমাদেরও সকলকে যার যার জায়গা থেকে সংকট উত্তরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এখন আমাদের আরও সচেতনতা ও সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে। মহামারী করোনা ভাইরাস মোকালেবায় নিয়োজিত প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল সম্মুখসারির যোদ্ধাদের দৃঢ় মানসিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে জনগণের সেবা করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে পৃথিবীতে সামনের সারিতে রয়েছে। কিন্তু মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান বাঁধা কারেন্ট জাল। তাই কারেন্ট জাল উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বিপণন আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ দেশে অবৈধভাবে প্রস্তুতকৃত কারেন্ট জালের প্রায় ৬০ ভাগ মুন্সীগঞ্জে উৎপাদন হয়। মুন্সীগঞ্জের পঞ্চসার ও মীরকাদিম এলাকায় অবৈধভাবে কারেন্ট জাল উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণন হয়। যা অত্যন্তু দুঃখজনক। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে কারেন্ট-জালের অবৈধ উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালীন এ সময়ে এবং আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলার যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা এবং আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে।