নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। এতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক শ্রম ও কর্মজীবন। সারা দেশসহ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়েও বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার জন্য শ্রমিক আসতে পারছে না। আর এতে শ্রমিক সংকটে পড়েছে লৌহজংয়ের কৃষক। শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে টানা দুইদিন রোজা রেখে এক কোমড় পানিতে ভিজে অসহায় কৃষকের ২৭০ শতাংশ জমির ধান কেটে দিয়েছে লৌহজং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মর্তুজা খাঁন। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মর্তুজা খাঁনের নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগকে নিয়ে গত রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মৌছামান্দ্রার চকে ৫০ শতাংশ ও গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পূর্ব শিমুলিয়ার চকে ২২০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে তুলে দেন এ নেতা। এতে আনন্দে দিশেহারা কৃষক।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা খান জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে শ্রমিক সংকটে পড়ে লৌহজংয়ের অসহায় কৃষকেরা। ফলে তারা ধান কাটতে পারছিলো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ শিকদারের দিক নির্দেশনায় টানা দুইদিন যাবৎ অসহায় কৃষকের ২৭০ শতাংশ জমির ধান কেটে তুলে দিয়ে আসছি। আমরা রাজনীতি করি দেশের মানুষের সেবা করার জন্য। আজ অসহায় কৃষকের পাশে থাকতে পেরে অনেক আনন্দিত। রোজা রেখে এক কোমড় পানিতে ভিজে প্রচন্ড রৌদ্রে ধান কেটেছি এতে কষ্ট হলেও কৃষকের মুখে হাসি তো ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এতেই আমরা খুশি।
তিনি আরও জানান, লৌহজংয়ের যেকোন কৃষক ধান কাটতে না পারলে আমাদের জানালেই হবে। আমি আমার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে নিয়ে ধান কেটে দিয়ে আসবো। যাতে কোন অসহায় কৃষকের পাকা ধান ক্ষেতে না পড়ে থাকে। কেননা কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে আমার দেশ।
মর্তুজা খাঁনের সাথে ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন লৌহজং উপজেলা যুবলীগ নেতা রঞ্জুসহ উপজেলার যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।