নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর মিনাবাজার এলাকার একটি ব্রীজ সংলগ্ন খালে বালু ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এই খালে বালু ভরাট করলে কৃষি জমির পানি নামবেনা। নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। প্রায় ২শ একর ফসিল জমি চাষ করতে পারবেনা। মৌসুমী ছাড়াও বর্ষায়ও পানি সংকট দেখা দিবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর মিনাবাজার এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা একটি নিচু জমি ভরাট করছে জমির মালিক শফি খান, আনিস মৃধাসহ আরো অনেকে। জমিটি ভরাটের লক্ষ্যে ব্রিজ ঘেঁষে ছোট খালে বাঁশ দিয়ে আরঘোরা দেয়া হয়েছে এতে করে ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে সেই জমি ভরাট হলে পার্শ¦বর্তী কৃষি জমির পানি আটকে যাবে এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মজিবুর সৈয়ালসহ স্থানীয় কৃষকরা। এই ভরাট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ভরাট নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই খালে ভরাট বন্ধ না হলে যেকোন সময় কৃষকদের সাথে বালু ভরাটকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে। একটি পক্ষ বলছে সৈয়দপুরে মিনাবাজার এলাকায় যে খালের নিচে বালু ভরাট করছে এটা সরকারি সম্পত্তি। অভিযোগকারী মজিবুর সৈয়াল বলেন, আধারা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আনিস মৃধা ও শফি গংরা জাজিরা সৈয়দপুর সংযোগ ব্রিজের নিচে বাঁশ দিয়ে বাঁধ করে খালে পানি প্রবাহ বন্ধ করছে। মিনাবাজারের সাথে ব্রিজের নিচের এই জমি ভরাট হলে এ এলাকার কৃষি জমির পানি সরতে পারবেনা। ফলে কৃষকদের কৃষিকাজ ব্যাহত হবে। তাই জমিটি যেন ভরাট করতে না পারে তার জন্য আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অপরদিকে জমির মালিক শফি খান ও আনিস মৃধা বলেন, ভরাটকৃত জমি দিয়ে পানি নামার প্রশ্নই আসেনা। কৃষি জমির পানি প্রবাহের খাল রয়েছে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহীম জানান, ভরাটকৃত জমি তাদের ব্যক্তি মালিকানা। তারপরেও আমরা ভরাট করতে নিষেধ করেছি। এদিকে জাজিরা সৈয়দপুর সংযোগ সড়কের ব্রিজের নিচে বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করতে দেখে মুন্সীগঞ্জ থানার এস আই মোতাব্বের স্থানীয়দের বলেছেন, বাঁশ দিয়ে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা ঠিক হবে না। তাই বাঁধ নির্মাণের কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে যাচ্ছে।