জনসচেতনতায় মাইকিং ও সভা সেমিনার করা হচ্ছে
আরাফাত রায়হান সাকিব : দেশ ব্যাপি বেড়েছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। মফস্বল শহর মুন্সীগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। জেলায় এ পর্যন্ত ৭জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করা হয়েছে । যাদের মধ্যে ৩জন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, গুরুতর আক্রান্ত ২জনকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সনাক্ত বাকি ২জন কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ১০০শয্যা বিশিষ্ট মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু জীবানু সংক্রামিত হওয়ার ব্যাপারে সনাক্তের নেই কোন ব্যবস্থা। ফলে বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে বেশি অর্থ ব্যয়ে পরীক্ষা করতে হচ্ছে জেলাবাসীকে।
রবিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে সরকারি ভাবে ডেঙ্গু জ্বরের ২য় ধাপের সি.বি.সি ও প্লাটিলেট পরিক্ষা করা গেলেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সনাক্তের জন্য প্রথম ধাপ NS.1 ( এন্টিজেন টেষ্ট) ও “এন্টি বডি টেষ্ট” মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাপাতালে করা যায় না। হাসপাতালে ব্যবস্থা থাকলে এসব পরীক্ষা ১শ থেকে ১৫০টাকায় করা যেতো, ক্লিনিক থেকে ৫শ থেকে ৩হাজার টাকার মত ব্যয় হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে এ পযর্ন্ত সদর উপজেলার রিকাবী বাজার এলাকার মোঃ রনি(২৬), রামপাল এলাকার রকিবুল শিকদার(৩৭), শোভন (২৬), হুগলাকান্দি এলাকার মাহফুজ বেপারী, এনায়েত নগর এলাকার আক্তার শিকদার(৪৫), বাঘাপুর এলাকার হাওলাদার বাড়ীর আবুল খায়ের(৫৫), শিশু ওমি(৬) ও রামপাল এলাকার রকিবুল সিকদার (৩২) ডেঙ্গু রোগে আক্তান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ওমি ও আক্তার শিকদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে আক্রান্ত রোগীদের কয়েকজন স্থানীয় ভাবে আক্রান্ত হলেও ১জন ঢাকা থেকে সংক্রামিত হয়ে এসেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। আক্রান্ত রনি জানান, তিনি ঢাকার শুক্রাবাদে বসবাস করেন, সেখান থেকেই এলাকা এসে আক্রান্ত হন। এব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি জানান, আপাতত আমরা সরকারি ভাবে ডেঙ্গু সনাক্ত করতে পারছি না, তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিভিল সার্জনের নিজ খরচে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছে, নির্দেশনার চিঠি হাতে পেলেই সরঞ্জাম ক্রয় করা হবে। এছাড়া এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই , ডেঙ্গু মশা সাধরাণত পরিষ্কার আবদ্ধ পানিতে ডিম পাড়ে, শহরের বাইরে পরিষ্কার আবদ্ধ পানির উৎস কম। জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা কম, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে, জনসচেতনতায় মাইকিং ও আলোচনা সভা সেমিনার করা হচ্ছে।