নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রচন্ড স্রোত ও নাব্যতা সংকট চরম আকার ধারন করায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরী চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ঘাটে পারাপার হতে আসা যানবাহনের চালক ও শ্রমিকদের গত ক’দিন ধরেই নানা দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এদের মধ্যে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান। এদিকে ফেরী চলাচলে অচলাবস্থার সুযোগে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের এক শ্রেণীর অসাধু সদস্যরা টাকার বিনিময়ে পরে আসা যানবাহনকে আগে সিরিয়াল দিয়ে দিচ্ছে বলে যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা অভিযোগ করেন। বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যাবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ জানান, এ নৌ-রুটের চ্যানেলে নাব্যতা সংকট চরম আকার ধারন করায় রোরো ও ঠেলা ফেরী চলাচল করার জন্য যে পরিমাণ পানির গভীরতা প্রয়োজন সে তুলনায় পানি না থাকায় বাধ্য হয়ে রোরো, ঠেলাসহ বড় ফেরীগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও দূর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলায় এ নৌ-রুটে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মাত্র ১২ ঘন্টা ফেরী সচল থাকে আর ১২ ঘন্টা রাতে বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে ৩টি কেটাইপ ক্যামেলিয়া, কিশোরী, কাকলী, কলমীলতা ও ছোট ফেরী ফরিদপুরসহ মোট ৫টি ফেরী চলাচল করছে এ নৌ-রুটে।