নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দক্ষিণে পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে একটি চমৎকার বাজার রয়েছে। প্রাচীন এই বাজারটির নাম হাসাইল বাজার। বিক্রমপুরের (মুন্সীগঞ্জ) ইতিহাস ঘেঁটে যে কয়টি প্রাচীন হাট বা বাজারের সন্ধান পাওয়া যায় তার মধ্যে হাসাইল বাজার অন্যতম। বাজারটি প্রাচীন তবে কতটা প্রাচীন তা বলা দুস্কর। তবে ধারনা করা হয় বাজারটির বয়স আনুমানিক তিনশ। জানা যায় যে, হাসাইল বাজারের প্রাচীন নাম ছিল করিমগঞ্জ। ইদানিংকালে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে হাসাইলের নদীর
পাড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র। তাছাড়া পদ্মা নদীর মাছ কেনাবেচার জন্য এই প্রাচীন হাসাইল বাজারটি বিখ্যাত। বাজারের পশ্চিমে মাছ ঘাট (আড়ৎ)।
প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত চলে লাখ লাখ টাকার মাছ কেনাবেচা। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত লোকজন আসে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাবেচার জন্য। এই বাজারে পাওয়া যায় সুস্বাদু রসগোল্লা ও দই। এছাড়াও এই বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার লিটার গরুর খাঁটি দুধ বিক্রয় হয়। পাওয়া যায় পদ্মার চরের তাজা শাকসবজি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে এই বাজারটির ব্যাপক ভূমিকা ছিলো বলে জানা যায়। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিখ্যাত পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে এই বাজারটির উল্লেখ না থাকলেও দুখানে এসেছে হাসাইল খালের কথা। সেই হাসাইল খালের উপরেই এখন হাসাইল বাজার। পদ্মায় একাধিকবার ভাঙ্গার পরেও নানাবিধ প্রতিকূলতায় বাজারটি এখনো টিকে আছে তার স্ব মহিমায়।