নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, জাতিসংঘের ৭৬ তম অধিবেশনে ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শকারী ৬ দফা প্রস্তাবনা সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভাষণে প্রতিধ্বনিত হয়েছে বিশ^মানবের আশা-আকাক্সক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর কালজয়ী এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বিশ^সভায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান ও সক্ষমতার স্মারক উন্মোচিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ভাষণে বিশে^র পিছিয়ে পড়া মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিধ্বনিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। সভায় জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) কর্তৃক ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ লাভ এবং বিশ^সভায় ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে আখ্যায়িত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি’র সঞ্চালনায় সভায় মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় মো. রশিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন। স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাভিত্তিক উপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের সংস্কৃতিকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনই হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির রক্ষাকবচ। বাংলাদেশে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, আমরা উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রেখে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার মধ্য দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন-সাধ বাস্তবায়ন করতে হবে।