নিজস্ব প্রতিবেদক
যেসব অটো রাইস মিলে চাল কেটে বা ছেঁটে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল নামে বিক্রি করছে, তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতে এ তালিকার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাল কেটে বা ছেঁটে উৎপাদনের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কিনা এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিনা সে বিষয়ে গবেষণা, প্রতিবেদন ও দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান। পরে আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ জানান, রুলে বিভিন্ন অটো রাইস মিল কর্তৃক বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন চাল কেটে বা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করাতে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে, তা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চাল কেটেবা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করা বন্ধে নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেবিনেট সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, খাদ্য সচিব, কৃষি সচিব, বাণিজ্য সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, র্যাব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সাত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং অটো রাইস মিলস মালিক সমিতির সভাপতি রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মনজিল মোর্শেদ আরও বলেন, অন্তবতীকালীন আদেশে যেসব অটো রাইস মিল চাল ছেঁটে মিনিকেট, নাজিরশাইল চাল নামে বিক্রি করছে তাদের তালিকা করে হলফনামা আকারে চার মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলে ১৭ থেকে ৩০ নম্বর বিবাদীদের নির্দেশ দেন। ১৩ থেকে ১৬ বিবাদীকে চাল ছেঁটে উৎপাদনের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কিনা এবং খাদ্যের পুষ্টিমান ক্ষতি হয় কিনা সে সম্পর্কে গবেষনা প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে মনজিল মোর্শেদ বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে ওভার পালিশ ও ছাঁটাইয়ের কারণে জিংকের পরিমাণ এমনকি পুষ্টি উপাদান অনেক কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে চালের ওপরের অংশ ছেঁটে ফেলার কারণে যে চাল মানুষ গ্রহণ করছে সেখানে কার্বোহাইড্রেটের অংশ বেশি যার কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস এ আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ছে।
চাল ছেঁটে মিনিকেট নামে বিক্রি করছেন কারা: হাইকোর্ট
আগের পোস্ট