নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক জাতীয়তাবোধ ও সাংস্কৃতিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র রুখে ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উন্নত সমৃদ্ধ প্রগতিশীল কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাবিরোধী কেউ যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
গত সোমবার ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হীরা লাল, ডা. কামরুল হাসান, হাজী ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে জাগ্রত সাংস্কৃতিক বোধ ও জাতীয়বাদী চেতনার নবজাগরণের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এক উজ্জ্বল মাইলফলক। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির স্বতন্ত্রতা রক্ষার সংগ্রাম। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি সে সংগ্রাম এক নতুন অধ্যায়ের জন্ম দেয়। দুইশত বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের নিগড় থেকে ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লাভের পর মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল মূলতঃ পরাধীনতার শৃঙ্খল-শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ-জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
তিনি বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় অভিষিক্ত। এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এমন একটি সময়ে আমাদের সামনে সমাগত যখন ভাষা আন্দোলনের সাত দশক অতিবাহিত হচ্ছে। রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকল বাংলা ভাষা-ভাষীদের প্রাণে নতুন ভাবাবেগ সঞ্চারিত হয়েছে।