নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ঐতিহ্যবাহী বাজার এখন আগের রূপে নেই। অনেকেই বলেন, শ্রীনগর বাজারের ফুটপাত দখল করার কারণে হেঁটে চলাচল করা মুশকিল। বেশিরভাগ দোকানী কোণঠাসা হয়ে আছে। বিশেষ করে বাজারের ভিতর দিয়ে মহিলাদের চলাচলের রাস্তা যেনো একটা আজাব। রাস্তার দুইপাশের ফুটপাতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট। অনেক সিরামিকের দোকানপাট নিজস্ব হলেও দোকানের বাহিরে রাস্তার পাশে ঝুলিয়ে রাখেন নানা ধরনের প্লাস্টিকের পণ্য। ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীসহ ক্রেতারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে চললেও উপায় নেই সহজে হেঁটে পার হওয়ার। শ্রীনগর গার্লস স্কুল থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত ও তার আশেপাশে ফুটপাতে রয়েছে দুই শতাধিক কাঁচাবাজারসহ নানা আইটেমের দোকানপাট। বাজারে প্রতিটি দোকানের সামনে দৈনিক ও মাসিক ভাড়া দেওয়া অবৈধ ফুটপাত দোকান দখল করে রাজত্ব করছে যুগের পর যুগ। প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিলেও ঘন্টা পেরোনের আগেই পুরাতন রূপ ফিরে আসে বাজারের। এদিকে বাজার কমিটির আহ্বায়ক জুয়েল লস্কর অসহায়ত্ব বোধ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বাজার কমিটির সবাই প্রায়ই ফুটপাত দখল করা দোকানদারকে উঠে যেতে বলি। কিন্তু তারা প্রতিউত্তরে ঝগড়ার সৃষ্টি করে। ফুটপাত দখলদার দোকানদারের কাছে বাজার কমিটি ব্যর্থ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, গত সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি দক্ষ টিম বাজারে এসেছিল। দেখলাম তাৎক্ষণিক তাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজারের ফুটপাত দখলমুক্ত হলেও ঘন্টা পেরোনের আগে আবার সেই বাজারের চিরচেনা আগের রূপ। বাজারের তিন থেকে চারটি প্রবেশপথের ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ার কারণে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যানযোগে ইমারজেন্সি রোগীসহ স্কুল-কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর চলাফেরা খুবই কষ্টসাধ্য। বাজারের বর্জ্য অপসারণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পথচারীসহ কোমলমতি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করেন। অন্যদিকে বাজারের পূর্ব ও পশ্চিমপাশে চকবাজার পোস্ট অফিস সংলগ্ন ৩টি ওভারব্রিজের ফুটপাত হকারের দখলে চলে গেছে। ব্রীজের উপরে দুইপাশে সর্বক্ষণ রয়েছে পার্কিং করা অসংখ্য অটোরিক্সা। আর ব্রিজের ফুটপাতে হকারের রাজত্ব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, গত সোমবার অভিযান পরিচালনা করার পরেও যদি আইন অমান্য করে ফুটপাত দখল করে থাকে তাহলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।