শ্রীনগরে বাঁধ দিয়ে খালের পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় মোবাইল কোর্টে জরিমানা, বালু সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা এলাকায় জলাশয়ের উপর বাঁধ দেওয়ার কারণে প্রায় ১০ কিলোমিটার খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারীর নির্দেশে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। শ্রীনগর উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এর আদালত পূর্বের পানি প্রবাহের জায়গা চিহ্নিত করে লাল নিশানা লাগিয়ে দেন। এসময় জলাশয় ভরাটকারী মতিন খাঁনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত ২ দিনের মধ্যে বালু সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ২০১০ সালের জলাশয় সংরক্ষণ আইনে এই জরিমানা করা হয়েছে। বালু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করা হলে নিয়মিত মামলা করা হবে। তিনি আরো জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গা ব্যবহার করে বালু ব্যবসা করার কারণে তা বিনষ্ট করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আড়িয়ল বিল থেকে উমপাড়া হয়ে খুপিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার খালের পানি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ মাস আগে খালটির প্রায় আড়াই কিলোমিটার এই বছরই খনন করা হয়েছে। কিন্তু ৩ মাসের মাথায় খালটির বীরতারা বাজারের পশ্চিম পাশের ব্রিজের ১০ গজের মধ্যে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে ভরাটের একপাশে প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু হয়ে পানির চাপ তৈরি হয়। অপর পাশে পানির স্তর নীচু।
স্থানীয়রা আরো জানায়, খালটির পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে ওই এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এ কারণে হুমকির মুখে পড়বে কয়েকশ একর আলুর জমি। সঠিক সময়ে পানি না নামলে জমি তৈরি ও বীজ বপনে দেরি হবে। তাতে ওই এলাকার প্রধান ফসল আলু চাষ ব্যাহত হবে চরমভাবে।
সরেজমিনে বীরতারা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বীরতারা বাজারের ১০ গজ পশ্চিম-উত্তরে খাল সদৃশ্য জলাশয়টি ভরাট শুরু করে জলাশয়টির উত্তর পাশের বাড়ির বাসিন্দা মতিন খাঁন। ষোলঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিস বেশ কয়েকবার বাঁধা দিলেও মতিন খাঁন তা অগ্রাহ্য করে ২ দিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার ফের কাজ শুরু করলে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।