নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আনুর রমরমা ড্রেজার বাণিজ্য। অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের চলাচলে চরম ভোগান্তিসহ হুমকির মুখে কোটি টাকার সরকারি রাস্তা, গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাঘাট, এলাকার বাড়িঘর ও ফসলি জমি। উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের বাঘড়া শিকদার বাড়ী মোড় এলাকায় চলছে রমরমা এ অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন আনু ওরফে (আতঙ্ক আনু) দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এ ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ড্রেজার পাইপ দিয়ে এলাকায় একের পর এক
বিভিন্ন ফসলি জমি ভরাট করে গেলেও স্থানীয় এলাকাবাসী কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। বাঘড়া শিকদার বাড়ী মোড়ে ঘনবসতি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্ক আনু এ অবৈধ ড্রেজার চালিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঘড়া শিকদার বাড়ী মোড়ে আনু মেম্বার অবৈধ ড্রেজিংয়ের বোস্টার বসিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ঘেঁষে পাইপ টেনে বাঘড়া এলাকার গ্রামীণ বিভিন্ন রাস্তার উপর দিয়ে পাইপ নিয়ে ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করছে। রাস্তার ড্রেজার পাইপ থাকায় পানি এবং বালু পড়ে যান ও জনচলাচলসহ ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন আনু ওরফে আতঙ্ক আনুর ভয়ে পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানায়, আনু মেম্বারের যত্রতত্র রাস্তাঘাটে ড্রেজারের পাইপ বসানোর কারণে আমরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি এবং ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু ভরাটের কারণে আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে এলাকার ফসলি জমি। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের বিষয়ে বাঘড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আনুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সবাইকে ম্যানেজ করেই ড্রেজার চালাই।
বাঘড়া ইউনিয়ন সহকারী তহসিলদার আল-আমিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শ্রীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।