নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। জেলা শহরের নাজুক সরবরাহ লাইন এবং যথাযথ সরবরাহ না থাকায় ১৩ হাজারের চেয়েও বেশি আবাসিক গ্রাহক গ্যাস না পেয়েও বিল গুনছেন। বিকল্প ব্যবস্থায় রান্নাবান্না করতে চলছে নানা চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে ঘরে ঘরে গৃহিণীদের ক্ষোভের যেন শেষ নেই।
মুন্সীগঞ্জের একটি বেসরকারী অফিসের কর্মচারী মিনা বেগম জানান, গ্যাস সংকটে নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন। এতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে পোষাতে না পেরে মাটির চুলাও ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। মিনার মতো মুন্সীগঞ্জের শত শত গৃহিণীর রান্না নিয়ে ভোগান্তি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে গ্যাস লাইনের সর্বশেষ সীমানা মুন্সীগঞ্জ শহর। লাইন সরু, কম সরবরাহ ও চাপ যথাযথ না থাকায় গ্যাস শেষ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই শেষ। শিল্পকারখানায়ও গ্যাস সংকট। অভিযোগ রয়েছে, বিচ্ছিন্নের পরও রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় বিল দিতে অনীহা প্রকাশ করছে গ্রাহকরা। তারা অনেকে লাকড়ির চুলায় সারছেন রান্নাবান্নার কাজ।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ আবাসিক গ্যাসের গ্রাহকরা গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন। গ্রাহকরা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হয় গ্যাস দাও, নয়তো বিল কমাও’।
শহরের খালইষ্ট এলাকার সোহেল জানান, আগে গভীর রাতে গ্যাস পাওয়া যেতো এখন তাও নাই। সিলিন্ডার গ্যাস ক্রয় করে রান্নার কাজ সারেন তার পরিবার। মুন্সীগঞ্জের গ্যাস সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই অন্যথায় শীঘ্রই মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নামবেন।
মুন্সীগঞ্জ তিতাস গ্যাস লিমিটেডের ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।