নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়াসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। তবুও থেমে নেই জীবনযাত্রা। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, রুটি রুজির জন্য মানুষ বের হচ্ছে ঘর থেকে। একদিকে তীব্র শীত, অন্যদিকে বেঁচে থাকার জন্য কর্ম।
গত কয়েকদিন যাবতই তীব্র শীত, হিম হিম শীত আর দৃষ্টিসীমা আড়াল করা কুয়াশা শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে এসে দেশে জেঁকে বসেছে শীত। গজারিয়া উপজেলাসহ একাধিক জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার তাপমাত্রাও শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি। সন্ধ্যার পর মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ দেশের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশা এত ঘন হয়ে থাকছে যে দৃষ্টিসীমার ৫০০ মিটার দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীত ও কুয়াশার এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষে শীতের দাপট আরও বাড়তে পারে। কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। শৈত্যপ্রবাহ শক্তিশালী হয়ে আরও কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কুয়াশা আরও ঘন হয়ে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে জীবনযাত্রায়। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় এখন শীতল আবহাওয়া এবং কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে পারে আরও দুই-তিন দিন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে শীত আরও বাড়তে পারে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগেরদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে কাঁপছে গজারিয়াসহ সারাদেশ। কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কর্মস্থলে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে।
সরেজমিনে উপজেলার মেঘনা ঘাটে গতকাল রবিবার সকাল ৭টায় দেখা যায়, শত শত হেড লোড শ্রমিক ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জাহাজ থেকে বালি আনলোড করছে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে।
তাদের মধ্যে এক শ্রমিক মোঃ শরীফ হোসেন জানান, স্বামী-স্ত্রী, সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার। প্রতিদিন সন্তানদের খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ন্যূনতম পাঁচশত টাকার প্রয়োজন। প্রতিদিন ইনকাম করেন প্রতিদিন বাজার করেন -এই যখন অবস্থা তখন একদিন কাজ না করলে সন্তানদের নিয়ে উপোষ থাকতে হয়। তাই এই শীত উপেক্ষা করেই কাজে আসতে হয়।
গজারিয়ায় প্রচন্ড শীত, তবুও থেমে নেই জীবনযাত্রা
আগের পোস্ট