নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখান উপজেলার সিএনজি ও অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে যানজট বেড়েই চলছে। এতে প্রতিদিন পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে থানা পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ বারবার সর্তক করার পরও যানজট নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও যানজট মুক্ত হয়নি এ উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো।
যানজট নিরসনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় সভা করেন থানা পুলিশ। বাজার এলাকায় অতিরিক্ত সিএনজি ও অটোরিকশা পার্কিং এর সুব্যবস্থা করার জন্য পরামর্শ দেন। ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য বাজার বণিক সমিতির সাথে আলোচনা করেন। তবুও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি।
এদিকে সিএনজি ও অটোরিকশা চালকেরা যত্রতত্র পার্কিং ও রাস্তায় যাত্রী ওঠা-নামা করায় ও উপজেলার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থানে ইচ্ছেমত পার্কিং পয়েন্ট স্থাপন করে যানজট সৃষ্টি করছে। মালখানগর, ইছাপুরা, সিরাজদিখান বাজার, উপজেলা মোড়, রশুনিয়া, ইমামগঞ্জ বাজার, নিমতলাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রিক্সাস্ট্যান্ডে সিএনজি ও অটোরিকশা যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিএনজি ও অটোরিকশা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর দখলে থাকে সড়ক। ফলে যানজটের কারণে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও কর্মমুখী লোকজন ভোগান্তিতে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় শ্রমিকলীগের সিরাজদিখান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছাইদুল ইসলাম সুমন বলেন, আমাদেরকে প্রশাসন যখনই ডাক দিয়েছে আমরা তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছি। আগে সিরাজদিখানে যে যানজট হতো দুইজন লাইনম্যান দিয়ে যানজট কমানো সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন আমরা আরো দুইজন দিয়েছি মোট ৪ জন লাইনম্যান দিয়ে যানজট কমানোর চেষ্টা করছি। নিমতলাতে হামিদুল ইসলাম রতন ও জাহিদ ওরা দুইজন চাঁদা উঠিয়ে খায়, কিন্তু কাজ করে না। ওরা যদি কিছু টাকা দিয়ে রুটে লাইনম্যান দিত তবে যানজট কমে যেত। আমরা তো ভাই চাঁদা উঠাইনা সেজন্য আমরা রাস্তায় কাজ করাইতে পারি না। আসলে লাইনম্যান যদি দাঁড় করাই তাদের তো ভাই মাসে টাকা দিতে হবে কিন্তু আমরা তো ভাই লাইনম্যান চালাইতে পারি না। তবে আমরা যখন যেভাবে আমাদের প্রশাসন ডাকে আমরা সেভাবেই রাস্তা পরিষ্কারের জন্য কাজ করে যাব।
সরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকা দরকার। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় থানা পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা যানজট নিরসনে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। যাতে যানজট নিরসন হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশফিকুন নাহার জানান, যানজট নিরসনে মাসিক সভায় ও বাজার বনিক সমিতির সাথে সভা করেছি। বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে এবং একদিকের অটোরিকশা যেন অন্যদিকে না ঢোকে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছি এবং ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। আশা করছি কিছুদিনের মাঝে এটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।