লাইফস্টাইল ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রা, ধুলোবালি আর দূষণের ভিড়ে ত্বকের যত্ন যেন দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। এর মধ্যে যদি প্রাকৃতিক কোনো উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়, তবে সেটা যেমন নিরাপদ, তেমনি কার্যকরও। এমনই এক উপকারী উপাদান হলো অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হাজার বছর ধরেই ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে বর্তমান সময়ে রূপচর্চার জগতে এর গুরুত্ব যেন আরও বেড়েছে। চুল থেকে ত্বক সব ক্ষেত্রেই অ্যালোভেরার রয়েছে জাদুকরী উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে-
ত্বককে হাইড্রেট রাখে
যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য অ্যালোভেরা হতে পারে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। অ্যালোভেরা জেল মূলত পানিসমৃদ্ধ, যা ত্বকে দ্রুত শোষিত হয় এবং গভীরভাবে আর্দ্রতা জোগায়। কেমিক্যালযুক্ত ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে এটি একটি দারুণ বিকল্প।
ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা অতি পরিচিত। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্রণের জীবাণু ধ্বংসে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে ব্রণের দাগ হালকা হয় এবং নতুন ব্রণও কম ওঠে।
রোদে পোড়া ত্বককে প্রশান্তি দেয়
গ্রীষ্মে রোদে বের হলে অনেক সময়ই ত্বক পুড়ে যায় বা লালচে হয়ে ওঠে। অ্যালোভেরা জেল এই পোড়া ত্বকে ঠান্ডা অনুভূতি দেয় ও জ্বালাভাব কমায়। এজন্যই অনেক সানবার্ন লোশন বা জেলে অ্যালোভেরা অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
চুলকানি ও প্রদাহ কমায়
যাদের ত্বকে চুলকানি বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে, অ্যালোভেরা ব্যবহারে তা অনেকটা প্রশমিত হয়।
ত্বকে বয়সের ছাপ কমায়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা ও ফাইন লাইন পড়তে শুরু করে। অ্যালোভেরা এতে ধীর গতি আনে। এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’ ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
ক্ষত সারাতে সহায়ক
কাটা, পোড়া বা ইনফ্ল্যামেশনসহ যেকোনো ক্ষত স্থানে অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে কাজ করে। অনেকসময় মশার কামড় বা ছোট স্কিন ইনজুরিতেও অ্যালোভেরা আরাম দেয়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে বাজারে পাওয়া নির্ভেজাল অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন, তবে উপাদান যাচাই করে নেওয়া জরুরি।