নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাহিমাকে ব্যাপক মারধর করেছে শাশুড়ি, দেবর ও স্বামী জুয়েল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খেলেন অন্তঃসত্ত্বা রাহিমার, মা, বাবা, ভাই, ভাবিসহ আরো অনেক। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দফা হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন। সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল মহেশপুর পশ্চিম কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুর পশ্চিম কান্দি গ্রামের নবু বকাউলের মেয়ে রাহিমা বেগমের (১৮) একই গ্রামের সোলেমান মিঝির ছেলে জুয়েল মিঝির সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন ছেলেপক্ষ মেয়েপক্ষের কাছে এক লক্ষ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ যৌতুক দাবী করেন। দাবীকৃত এক লক্ষ টাকার মধ্যে বিয়ের আগে ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও তাদের দাবীকৃত বাকী ২০ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ পরিশোধ করতে না পারায় স্বামী জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্ব¡া রাহিমাকে কয়েক দফা ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
পরে রাহিমার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে গেলে রাহিমার মা ফাতেমা বেগম (৬০), বাবা নবু বকাউল (৬৫), বড় ভাই আল-আমিন (২২), ভাবি সুমাইয়া বেগম (২০) ও মাহমুদা বেগমকে (২২) মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। এ ব্যাপারে মেয়েপক্ষের লোকজন গতকাল বৃহস্পতিবার মীমাংসা করার চেষ্টা করেও পুনরায় তার বাবা নবু বকাউলকে মারধর করে।
অন্তঃসত্ত্বা রাহিমা বেগম বলেন, জুয়েল আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। বিয়ের আগে আমাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের সময় একলাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ দাবী করে জুয়েল ও তার পরিবার। সে টাকা পুরো পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকদিন পরপর আমাকে মারধর করে। আমার বাবা, মা, ভাইয়েরা প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করে তারা। এখন এদের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে পারছিনা। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ও যৌতুকের ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে স্বীকার করে অভিযুক্ত জুয়েল ও তার মা আছিয়া বেগম বলেন, যৌতুকের এক লক্ষা টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ দেয়ার কথা তার মধ্যে মাত্র ৭০ হাজার টাকা দিয়েছে আর স্বর্ণ এখনো দেয়নি।