নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর থেকে গজারিয়ার পূর্ব রসুলপুরের ট্রলারঘাট বা ফেরিঘাট পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানের সেতুতে দুইপাশের রেলিং ভাঙ্গা রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। পশ্চিমের ফুলদি নদী পার হয়ে রসুলপুর থেকে ভবেরচর পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানের মাথাভাঙ্গা এলাকায় সেতুর দুইপাশের অংশের রেলিং ভাঙ্গা থাকতে দেখা গেছে ইতোমধ্যে। এই পথে যাওয়ার সময়ে এই স্থানে এটি সহসাই চোখে পড়ে থাকে সকলেরই। গজারিয়া উপজেলার প্রশাসনও এ পথ দিয়ে চলাচল করে থাকেন সব সময়েই। কিন্তু সেতুর ভাঙ্গা রেলিংটি কোনভাবেই সংস্কার হচ্ছে না কয়েক বছর ধরে। এটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোন সময়ে এ পথে বিপদ ঘটতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। এরপর গজারিয়া মেঘনা নদীর ট্রলারঘাট থেকে ফুলদি নদী পর্যন্ত রাস্তার একাধিক স্থানের সেতুতে সেতুর দুইপাশের অংশ ভাঙ্গা থাকতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে। এর ফলে এ পথে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এ পথের পথচারীরা। বর্তমানে এ পথে যানবাহন চলাচলে কিছুটা পাতলা ভাব দেখা গেলেও ভবিষ্যতে এ পথে যানবাহন চলাচল বেড়ে যেতে পারে যেকোন সময়ে। সেই সময়ে এই ভাঙ্গা সেতুর রেলিং বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই এ পথের সেতুর রেলিং দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে অনেক মহল থেকেই। এছাড়া এ পথের কিছু সেতুতে কোন ধরণের রেলিংও নেই। সেক্ষেত্রে এটিও ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকেই এ বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করেছেন। এ পথের কোন সেতুতেই রাত্রিকালীন চলাচলের সময়ের রংয়ের সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে না। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ পথের রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত করা হয়েছে আগের তুলনায়। আর সেই হিসেবে এ পথের অনেক ছোট ছোট সেতু ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে বড় আকারে নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ পথের পুরাতন ও নতুন সেতুতে রাত্রিকালীন সময়ের সিগন্যালের রং লাগানো হয়নি আজও। এর ফলে এ ঘটনায় এখানে যেকোন সময়েই দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।