নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ার চর রমজানবেগ গুচ্ছগ্রামে গৃহবধূ লিজার শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। লিজার স্বামীর নাম সুমন। লিজার বাপের বাড়ি থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আর লিজার শ্বশুরবাড়ি থেকে দাবি করা হচ্ছে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ফাঁস দেয়ার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। দুই পরিবার থেকে দুই রকমের মতামত পাওয়া যাচ্ছে। তাই লিজার মৃত্যুটি ক্রমশ রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। গজারিয়া থানা পুলিশ লিজার মৃতদেহটি খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করেছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছে। এ দৃশ্য গ্রামবাসীরা নিজ চোখে দেখেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। গ্রামের কেউ কিংবা পুলিশ লিজার মৃতদেহ ফাঁসের সাথে ঝুলতে দেখেননি। তবে লিজা আসলে মারা গেল কিভাবে? এ প্রশ্ন এখন সবার মাঝে উঁকি মারছে। আর রহস্য ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। তবে খাটের আঁড়ার সাথে কাপড় বাঁধা থাকতে দেখতে পেয়েছে অনেকেই। কিন্তু সেই কাপড়ে ফাঁসের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। সাধারণত ফাঁসের কারণে কাপড়ের একটি অংশ যেখানটাতে ফাঁস আটকানো থাকবে সেখানটাতে কাপড়ের কিছু অংশ দুমড়ানো মুচড়ানো থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু ঝুলে থাকা কাপড়ে সেই ধরণের কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। আর তাতে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে লিজার স্বামী সুমনের ফাঁসের নাটকটি অনেকটা সাজানো। প্রকৃত ঘটনা অর্থাৎ লিজার মৃত্যুর ঘটনা আড়াল করতে সুমন লিজার ফাঁসের কথা বলে বেড়াচ্ছেন। গভীরভাবে এ বিষয়টি তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গ্রামবাসীরা মনে করছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার এশার নামাজের আগমূহুর্তে। এ ঘটনার পরপরই লিজার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। গত রবিবার লিজার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর তার দাফনের কাজ শেষ করা হয়। লিজার আঠারো মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তার নাম আব্দুল্লাহ। লিজার বাবার বাড়ি গজারিয়ার ইসমানির চরে। লিজার শ্বশুরের নাম লিটন। লিজার বাবা আলম চাঁন বলেন, তার মেয়ের জামাই সুমন বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে যৌতুক হিসেবে টাকাপয়সা দাবি করতো। সুমন মূলত কোন কাজকর্ম করতো না। এছাড়া সে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল।
গজারিয়ায় গৃহবধূ লিজার রহস্যজনক মৃত্যু
আগের পোস্ট