নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রথম ভাসমাস ক্রেন “রইহাং-৫” কে সেতু প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছিলো। প্রায় সাড়ে ৫ বছর স্বপ্নের সেতুর কর্মযজ্ঞে অংশ নিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষে এবার জন্মভূমি চীনে ফিরে যাচ্ছে ক্রেনটি। গতকাল বুধবার বিকাল চারটায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে মাওয়া পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা ছেড়ে যায় ক্রেনটি। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে চীনে পাড়ি জমাবে ক্রেনটি। এসব বিষয় মুন্সীঞ্জের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ কাদের।
তিনি জানান, ক্রেনটির লিফটিং ক্ষমতা ১০০০ টন (৯০% যার ক্ষমতা ২০ টন ওজনের ৫০টি ট্রাক একবারে তুলে ধরতে পারে তাও আবার পানিতে) এবং এটি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যেকোন দিকে কাজ করতে পারে। গত ১২ মে প্রকল্প হতে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুর ৩০ তম স্প্যান (যা এ মাসের শেষে বসবে) এর লিফটিং ক্রেন পিয়ার-২৭ এর উপর উঠিয়ে দিয়েই এ প্রকল্পে এর কাজ শেষ করবে। গতকাল বুধবার ক্রেনটি মাওয়া ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে নিজ জন্মভূমি চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। চট্টগ্রাম পৌছাতে ২-৩ দিন সময় লাগবে। তিনি আরো জানান, মূল সেতুর এক একটি পাইলের ওজন ছিল ৫১৪ টন। এটি মূল সেতু এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের পাইল ড্রাইভিং এর সময় পাইল লিফটিং ও পজিশনিং এর কাজ করতো (ঠিকমত ধরে রাখতো)। এ ক্রেনের আরেকটি বৈশিষ্ট হলো ক্রেনের উপরে আরও ২টি ৫০ টন ও ১০০ টনের ক্রেন রয়েছে যা দিয়ে তার নিজেরসহ অনেক কাজ করা যায়। ক্রেনটি মাওয়া যখন এসেছিলো তখন সেতুর ঠিকাদার প্রকৌশলীরা একে ফুল দিয়ে বরণ করে।
তিনি আরো জানান, আরও একটি ১০০০ টন ক্ষমতার ক্রেন রয়েছে যা পরবর্তী অবশিষ্ট ১২টি স্প্যানের কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেতুর সবচেয়ে বড় ক্রেন ৩টি। ১টি ট্রাস/স্প্যান স্থাপনের জন্য যার নাম তিয়ানহো (ক্ষমতা ৩৬০০ টন)। অপর ২টি ডাকিয়ো এর প্রত্যেকটির ক্ষমতা ১০০০ টন (৯০%)।