নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় বাজারের পদ্মা নদীর ওপারের দক্ষিণ দিকে সরিষাবন গ্রাম। এখানকার একটি রাস্তায় একে একে তিনতলা সেতু তৈরি হয়েছে। প্রথমে পাকা সেতু। পরে কাঠের সেতু। তারপরে গাছের গুঁড়ি দিয়ে সেতু। এখানে এতো সেতু তৈরি হওয়ার পরেও লোকজন ঠিকমতো পারাপার হতে পারছে না। এ রাস্তার খাড়িতে সাত বছর আগে কোটি টাকায় প্রথমে পাকা সেতু তৈরি হয়। সেটি তৈরির একই বছরে সেতুর মাঝখানের পিলার থেকে মাটি সরে যায়। তাতে সেতুটির চিত্র দাঁড়ায় ধনুকের মতো। সেতুর খোঁচের ওপর দিয়ে কোনভাবে এ পথের মানুষ চলাচল করছিল। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর সেতুটি পুনঃনির্মাণ না করে সেই সেতুর ওপরে মাটি ফেলে আবারো কোনভাবে চলাচল শুরু হয়। তাতে প্রথমবারের সেতু তৈরির টাকা মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এ সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে সেতুটি মাটির নিচে দেবে যায়। ইতোমধ্যে ঠিকাদার জামানতের টাকাও তুলে নিয়ে যায়। এর মধ্যে মাটিতে দেবে যাওয়ায় পরের ধাপে তার ওপরে কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু পানি আরো বেড়ে যাওয়ায় সেটিও পানিতে তলিয়ে যায়। এখন তার ওপর দিয়ে গাছের গুঁড়ি দিয়ে আরেক তলা সেতু তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে এ পথ দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। এদিকে নদীর তীর থেকে পায়ে হেঁটে কিছুদূর যাওয়ার পর এ চিত্রটি চোখে পড়বে। ঐ পথে চলাচলের জন্য একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে মোটরসাইকেল। ভাঙ্গা সেতুর ওপার থেকে এ মোটরসাইকেলগুলো পাওয়া যায়। মোটরসাইকেলের পিছনে তিনজন করে আরোহী নেয়া হয়। এখানে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।