নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ আর জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে প্লাস্টার, দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। এই পরিস্থিতিতে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় নানা ধরণের দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগে ওই কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী আবু বকর সিদ্দিক নামে একজন কর্মরত থাকাকালীন ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে গুরুতর আহত হয়। জরাজীর্ণ কমপ্লেক্সের ভবনটি ২০০৬ সালে সংস্কার করে ৫০ শয্যায় উপনীত করে উদ্বোধন করেন তৎকালীন বিএনপি’র মন্ত্রী শামসুল ইসলাম। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের রোগী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে এ কমপ্লেক্সে।
গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বিভিন্ন স্থানের প্লাস্টার খসে পড়েছে। কেবিন ও টয়লেটগুলো নোংরা হয়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সেবিকা জানান, একজন অস্থায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কার করা হয়। এ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর মা পান্না বেগম জানান, প্রতি কেবিনের ভাড়া ৪ শত ২৫ টাকা নেয়া হয়। অথচ কেবিনের কোন সার্ভিস নেই। টয়লেটগুলো নোংরা, যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো সংস্কারের প্রয়োজন। তাছাড়া খাবারের মানও ভালোনা। এ কমপ্লেক্সে কেউ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসলে আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই দুরবস্থার কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে যাচ্ছেন সদর হাসপাতালে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তাসলিমা ইসলাম জানান, কমপ্লেক্সের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। টয়লেটের সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নিবে।