নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার কমলাঘাট এলাকার খাদ্য গুদাম সংলগ্ন রাতের আঁধারে খালের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। এমনকি যেখানে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে, তাও সরকারি কৃষিজমি। খবর পেয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাঁধা দিয়ে খালের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও চক্রটি এখনও পায়তারা অব্যাহত রেখেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাঘাট তিলার্দী মৌজায় সরকারি খাদ্য গুদাম সংলগ্ন এলাকায় সরকারি খাল ও কৃষিজমি ঘেঁষে জমি ভরাট করে স্থানীয় হেমায়েত চৌকিদার, রোকনুজ্জামান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আই এইচ শান্তনু গং। খালের পাশে তাদের ভরাটকৃত জায়গায় যেতে কোনো রাস্তা না থাকায় খালের মাটি কেটে পাড় ঘেঁষে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে চক্রটি। এতে পাশে থাকা ধানের জমিও ভরাট করে ফেলেছে তারা।
খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্টরা জানান, যে খালের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছে চক্রটি, ওই খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে খাদ্য গুদামের মালামাল আনা নেওয়া হয়। অনুমতি ছাড়া রাস্তা নির্মাণ করা হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্থ হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত হেমায়েত চৌকিদার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আই এইচ শান্তনু ভরাট কাজের সঙ্গে জড়িত। আমি আপনার সঙ্গে শান্তনুকে যোগাযোগ করতে বলছি।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আই এইচ শান্তনু বলেন, পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া খাল থেকে কিছু পরিমাণ মাটি কাটলেও যেখানে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে, ওই জায়গা আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। সরকারি জায়গা ছেড়েই রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ মোয়েতাছেয়ুর রহমান বলেন, রাতের আঁধারে খালের মাটি কেটে সরকারি জায়গায় রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরে বাঁধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা সেখানে মাটি ভরাট কার্যক্রম চালালে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিরকাদিমে অনুমতি ছাড়াই খালের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা
আগের পোস্ট