নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তারপুর বাজার ও ফিরিঙ্গিবাজারের স্টিমার ঘাটের মধ্যে দুটি রাস্তাই বর্তমানে খানাখন্দে ভরা। বছরের পর বছর এই দুটি রাস্তাই পুনঃসংস্কার না করায় এ রাস্তায় বর্তমানে একাধিক স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে এখন বৃষ্টির পানিতে দিনভর পানিতে ভর্তি হয়ে থাকে। এর ফলে এখন এ পথে কোন পথচারী কিংবা কোন ব্যক্তি ঠিকঠাকভাবে চলাচল করতে পারে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তারপুর ফেরিঘাট থেকে মুক্তারপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পিচের কার্পেটিং উঠে গেছে ইতোমধ্যে। তাতে এ রাস্তায় এখন বর্তমানে একাধিক গর্ত দেখা দিয়েছে। এ বাজারে কেনাকাটা করতে আসা যাওয়া লোকজনরা এ ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলে অনেক ধরণের অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বাজারের রাস্তার পাশে রয়েছে এখানে একাধিক হিমাগার। সেই হিমাগার থেকে প্রতিদিনই বের হচ্ছে গোলআলুর শত শত বস্তা। এসব আলুর বস্তা রিক্সা করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। কখনো কখনো ঠেলাগাড়িতে করেও আলু নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে আলুর পাইকাররা এখানে অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন প্রতি মুহূর্তে। অন্যদিকে ফিরিঙ্গিবাজারে স্টিমার ঘাটেও অনুরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখানে শতাধিক চাউলের আড়ৎ রয়েছে। আরো রয়েছে একাধিক অটো রাইস মিল। এখান থেকে এ পথ ধরে বিনোদপুর যাওয়া যায়। এ পথ ধরে রিকাবিবাজারেও যাওয়া যায়। এ পথের মধ্যে রয়েছে চাউলের অনেক আড়ৎ। রাস্তার এই অবস্থার কারণে এ পথে এখন চলাচল অনেকটাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।