আরাফাত রায়হান সাকিব॥ নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দীঘিরপার ট্রান্সপোর্টের ২টি বাস ছেড়ে গেলেও পথে নারায়ণগঞ্জের পাগলা থেকে তাদের ফিরত পাঠায় আন্দোলনকারী শ্রমিকরা। এদিকে সকাল থেকেই ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কেও বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। দেশের দক্ষিণ বঙ্গের ২১জেলা মানুষের রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার প্রধান সড়কটিতে পরিবহন ধর্মঘটের মুখে বিপাকে ও ভোগান্তীতে পরেছে যাত্রীরা। সকাল থেকেই জেলার লৌহজংয়ের শিমুলিয়াঘাট ও সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের জটলা দেখা গেছে। এদিকে সকালে সরজমিনে মুক্তারপুর বাসকাউন্টার ঘুরে বাসকতৃপক্ষ কিংবা কাউন্টার ম্যানেজার কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন শ্রমিক নেতা জানায়, জেলার পরিবহন শ্রমিকদের কোন নির্ধারিত কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়নি, মূলত গন্তব্যে যাওয়ার মাঝ পথ থেকে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে, তাই যান চলাচলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সোহরাব হোসেন জানায়, যেসব বড় গাড়ী রাতে মুন্সীগঞ্জে ঢুকেছিলো ভোরে সেসব গাড়ি বেড়িয়ে গেছে। সকাল থেকে আর কোন বাস-ট্রাক চলছে না। মাওয়া ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাউসার ই আলম জানায়, মহাসড়কে সকাল থেকে কাভার্ডভ্যান, ট্রাক চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে। নগন্য সংখ্যক বাস চলছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঘন্টায় ২-১ বাস ছেড়ে গেলেও সেগুলো শেষ পর্যন্ত রাজধানীতে পৌছাতে পারছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে ২-১টি বাস ঘাটে পৌছে ফেরি দিয়ে পার হচ্ছে।
এব্যপারে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজকে জানায়, মুন্সীগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন বাঁধা নেই। যার ইচ্ছে হয় পরিবহন চালাবে যার ইচ্ছে নেই চালাবে না, তবে কেউ যদি ভাংচুর কিংবা বিশৃংখলা করার চেষ্টা করে তা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা তৎপর রয়েছি। এব্যাপরে শ্রমিক নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , জনগনের যেনো কোন ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।