নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাংলাদেশে দিন দিন অতিমাত্রায় বেড়ে চলছে। ১০২ দিনে এই সংখ্যা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি (৯৮,৪৮৯ জন) মৃত্যুর সংখ্যা ১৩০৫ জন। মুন্সীগঞ্জ জেলায়ও এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে আজ পর্যন্ত ১৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ৪০ জনের উপরে। আক্রান্তের দিক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরে সবচেয়ে বেশি। তাই সদরের মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা, রামপাল ইউনিয়ন আর মিরকাদিম পৌরসভাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য উপজেলাসমূহের যেসকল ইউনিয়নের ওয়ার্ডসমূহে আক্রান্তের সংখ্যায় রেড জোন সংখ্যার আওতায় আসবে সেই সমস্ত ওয়ার্ডসমূহ লকডাঊন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে করে পনের লক্ষাধিক জনসংখ্যার এই ঘনবসতিপূর্ণ জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজন করোনা ভাইরাস পরীক্ষা। প্রতিদিন অতি স্বল্পসংখ্যক সন্দেহভাজন লোক করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে এবং ঢাকা থেকে এই পরীক্ষায় ফলাফল আসতে এবং জানতে ৩/৪ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। করোনায় আক্রান্তদের যথাযথ সময় শনাক্ত করতে না পারায় জেলায় দ্রুত গতিতে করোনা ভাইরাস বিস্তার ঘটছে। এই বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দরকার বেশি বেশি সংখ্যায় দ্রুত করোনা ভাইরাস পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া বা নিজ গৃহে আলাদা করে রাখা। তাই মুন্সীগঞ্জ জেলার সকল স্তরের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক-ছাত্র ও সুশীল সমাজের দাবি অতিসত্ত্বর মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হোক যার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত ও বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি ও সরকারিভাবে আইসোলেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়েও জেলাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় পদক্ষেপ কামনা করেন।