নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা ও ভরাট করার উৎসব চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না জমি থেকে এই মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের কাজ। প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হচ্ছে। গত মাসে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নে কৃষিজমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে বৌলতলী পয়সা পশ্চিমপাড়ার পাশে ভরাট করার অপরাধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই ব্যক্তিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আবারো একই স্থানে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রভাবশালী ড্রেজার মালিক দেলোয়ার, আল আমিন ও বাদশা খান পুনরায় ড্রেজারের মাধ্যমে কৃষিজমি কেটে ভরাট করছে।
স্থানীয়রা জানান, এই প্রভাবশালী ড্রেজার মালিকরা বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করেই ড্রেজার চালায়। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
বৌলতলী ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দোলোয়ান জানান, ড্রেজারে মাটি কাটা ও ভরাট এটা তাদের বিষয়। এর আগে জরিমানা করেছে এটাও জানি এবং এখন আবার ভরাট করছে এটাও দেখছি। আমি ড্রেজার চালাইও না এবং ভরাটও করিনা। এটা তাদের বিষয়। এটা আইনের বিষয়।
বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মালেক শিকদার বলেন, প্রশাসন এসে জরিমানা করে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করলে কয়েকদিন পর আবার চলতে থাকে। আমি চাই সঠিক পদক্ষেপ, যাতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যে কাজটি করছে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে ড্রেজার মালিক আল আমিন, বাদশা খান ও দোলোয়ার খানকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদার জানান, কৃষিজমি কেটে মাটি ভরাটের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।