নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের বাসুদিয়া মাজপাড়া গ্রামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাঁচটি ঘরের মধ্যে একটিতে বসতি। বাকি ৪টি ঘরে তালা ঝুলছে। ঘরের সামনে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। দেখে মনে হচ্ছে, এটি একটি নির্মাণ সামগ্রী রাখার স্টোর। যাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর সেই মালিকরা থাকছে না ঘরে। এলাকাবাসীর দাবি অযোগ্য লোকদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, খিদিরপাড়া ইউনিয়নের মাজপাড়া বাসদিয়া জাপানি বাড়ি সংলগ্ন পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর আছে। এতে একটিতে বসতি আছে। বাকি চারটিতে তালা ঝুলছে। ঘরের সামনে রাখা আছে বালুর বস্তা, ইটের সুরকি, ঘরের দরজায় ঝুলছে তালা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী পলি নামের এক গৃহবধূ বলেন, ঘর নির্মাণের পর কিছুদিন কয়েকটি পরিবারের সদস্য বাস করলেও পরে তারা ঘর তালাবন্ধ করে চলে গেছেন। একটি ঘরে বসতি আসেনি। বাকিরা দেড় বছর হল আর তাদের দেখা যায়নি। তবে মাঝেমধ্যে দুই একটি ঘরের লোকজন আসা-যাওয়া করে। তবে এখানে স্থায়ীভাবে কেউ থাকেনা। প্রতিবাসীরা তাদের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু, সিমেন্টের বস্তাগুলো এখানে রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘর পাওয়ার অযোগ্য এমন পরিবারকেও ঘর দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ওই ঘরগুলো এখন ফাঁকা পড়ে আছে। ফাঁকা ঘরগুলোতে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে সত্যিকার ভূমিহীনদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। তবে প্রতিবেদনের দিন ও রাতে ঘর ছেড়ে যাওয়া ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, যারা ঘরগুলোতে নিয়মিতভাবে থাকছে না তদন্ত কমিটি করে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বরাদ্দ বাতিল ও নতুন করে ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।