নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া সংলগ্ন বাজারে পশ্চিম পাশের গোয়ালীমান্দ্রা বাজার যাওয়ার সড়কের পাশে কৃষিজমি কেটে পকেট তৈরি শ্রেণি পরিবর্তন অনুমতিপত্র চাওয়া এবং তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে পরে দেওয়ার কথা বলে সাংবাদিককে ডেকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তথ্য থেকে জানা যায়, সরকারি বিধান অনুসারে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমির শ্রেণি পরিবর্তন পত্র আবেদন করতে হয়। আবেদন দেখে যাচাই বাছাই শেষে অনুমতি দেয়। তবে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিক প্রশাসনের অনুমতি চাওয়ায় উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মৌখিক অনুমতির নিয়েছেন বলে জানান মোঃ শাহীন। দুইদিন পরে অনুমতি দেখাবে বলে ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি প্রদানকারী মোঃ মিন্টু বেপারী।
উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া সড়কের পাশের জমির মালিক শাহীন ও ভেঁকু দিয়ে মাটি কাটার দায়িত্বে ছিলেন পল্টু মোড়ল। ঐ স্থানে একাধিক স্থানে ভেঁকু দিয়ে পকেট তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা মোবাইল ফোনের কলের সূত্রের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে ঐ স্থানটিতে মাটি কাটার অনেকগুলো পকেট করা রয়েছে এবং শাহীন নামে একজনের জমিতে ভেঁকু দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহের পরে শাহীন অনুমতির বিষয়ে দুদিনের সময় চায়।
সাংবাদিক শেখ মোঃ সোহেল রানাকে হলদিয়ায় একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রথমে শাহীন ও পরে মিন্টু বেপারী হুমকি প্রদান করে বলে, বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলবো, ঝামেলায় পড়ে যাবি। মাটি কাটার কাজ আমার। তুমি কেন শাহীনকে ফোন দিয়ে অনুমতির কাগজ চাও। বড় রকম ঝামেলায় ফেলে দেব। জীবনের মায়া করলে হলদিয়ার বিষয়ে কিছু লেখবি না ও করবি না। শাহীন আমার লোক আমার কাজ। সাংবাদিক শেখ মোঃ সোহেল রানা এ বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। সেই সাথে স্থানীয় সকল সাংবাদিকের কাছে বিষয়টি অবগত করেন।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান এর সাথে কৃষি জমি শ্রেণির পরিবর্তন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুমতি দিতে পারে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সে কখনো পারে না। এটা তার কাজ নয়। কৃষিজমির শ্রেণির পরিবর্তন বিশাল ব্যাপার। অনুমতির আবেদনগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়। শ্রেণির পরিবর্তন আবেদন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবেদন যাচাই বাছাই করে অনুমতি দিয়ে থাকে। আমি হলদিয়ার বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।