নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চৌরাস্তা বাজারের পশ্চিম পাশে মন্দিরের সামনে ফসলি জমির মাঝে ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে জমি ভরাট করছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফসলি জমির মাঝে ড্রাম ড্রেজার লাগিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ফসলি জমি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতির শিকার হয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষক পরিবার। বারবার বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও তার কোনো সুরাহা পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. করিম শেখের বিরুদ্ধে। তার ছোট একটি কৃষিজমির মাটি ড্রেজার লাগিয়ে পরিমাণের চেয়ে গভীর খনন করে অতিরিক্ত মাটি উত্তোলন করায় আশপাশের কৃষিজমি ও পুকুরের পাড় ভাঙনের শিকার হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৌলতলী গ্রামের মো. করিম শেখ তার ছোট একটি কৃষিজমি থেকে ড্রেজার ব্যবহার করে জমির মাটি পাইপ দিয়ে নিয়ে এনে বাজারের পিছনের জমি ভরাট করছে। ড্রেজার লাগিয়ে গভীর খনন করছে। ফলে চারদিকে থাকা বেশ কয়েকটি ফসলি জমির পাড় ভেঙে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক এ প্রতিবেদককে জানান, মো. করিম শেখের জমিটি বিলের মাঝখানে হওয়ায় এবং তিনি জমি হতে অতিরিক্ত মাটি উত্তোলন করায় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন কৃষকের জমি ভেঙে পড়েছে। ড্রেজারের মালিক মনির ড্রেজার মনির নামে পরিচিত সাথে লিটন ও মুক্তার রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কৃষকেরা জানান, দিনে না কেটে লোকজনের চোখের আড়ালে রাতের অন্ধকারে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটায় চারদিকের ফসলি জমি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে বৌলতলী ১নং ওয়ার্ডের মো. করিম শেখের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার জমিতে আমি কাজ করি। ফসলি জমি অনেকগুলো আমার। এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান অনেককেই জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মালেক শিকদার বলেন, আগে আমি কিছুই জানতাম না। আমি ইউনিয়ন পরিষদের একটি কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেছি যে ড্রেজার চলছে। তবে আমি বলতে পারবো না কে বা কারা কাজ করছে।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এটা বন্ধ করার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আমি ঘটনাস্থলে ভূমি অফিসের লোক পাঠিয়ে ড্রেজারটি বন্ধ করে দিয়েছি। তবে যদি লুকোচুরি করে তা আবার পুনরায় চালু করে তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লৌহজং উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরীফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ফসলি জমির মাটি কাটা যাবে না। এতে জমির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, আমি শুনেছি ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘