নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে দুইপক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে এক পক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ৪ জন। ৩ জন সাধারণ চিকিৎসা ও গুরুতর আহত সামাদ সিকদার (৫০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি খড়িয়া গ্রামের মৃত সবদর সিকদারের ছেলে। তার ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রফিক বেপারী (৫২) ও তার দুই ছেলে নাহিদ (২৩) এবং সোহাগ (২০) কে আসামী করে লৌহজং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হলুদিয়া বাজার ব্রীজের উপরে। সেসময় মারধর থামাতে গিয়ে এসকে রানা নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন হারিয়েছেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ব্রীজের উপর রেখে দেওয়া একটি বাসের পেছন দিক থেকে খড়িয়া গ্রামের রফিক বেপারী ও তার দুই ছেলে নাহিদ এবং সোহাগ লোহার রড, লাঠি-সোটা নিয়ে দৌড়ে এসে সামাদ সিকদারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার বাম চোখের উপর কপাল ফেটে যায়, বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখ ভেঙ্গে যায়। বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম হয়। এর আগে দুপুরে ঝগড়া থামাতে গিয়ে আরো ৩ জন আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী অনেকে জানান, খড়িয়া গ্রামের মঞ্জুরুল (৬৫) একই গ্রামের রফিক বেপারীর নিকট ৫ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। গত সোমবার দুপুরে পাওনা টাকা চাইতে গেলে রফিকের দুই ছেলে মঞ্জুরুলের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। পাশের বাড়ির শহিদুল ইসলাম, সামাদ সিকদার ও শামিম ফকির বিষয়টি দেখে তাদের থামাতে যায়। এ সময় রফিক বেপারীর দুই ছেলেসহ বাড়ির লোকজনের হামলায় তারা আহত হয়েছেন। এরপরে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু রাতেই আবার বাজার থেকে ফেরার পথে সামাদ সিকদারের উপর তারা আবার হামলা চালায়।
শহিদুল ও সামাদ সিকদার জানান, রফিক বেপারীর ২ ছেলে মাদকসহ নানা অপকর্মে জড়িত। মুরব্বীর সাথে খারাপ ব্যবহার ও গায়ে হাত তোলায় আমরা থামাতে গিয়েছি। তারা উল্টো আমাদের মারধর করেছে। আবার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলা করে। এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
গত মঙ্গলবার দুপুরে রফিক বেপারীর বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে লৌহজং থানার উপ পরিদর্শক আজাহার জানান, অভিযোগ হয়েছে। ওসি স্যার আমাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে। দু’একদিনের মধ্যেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।