নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পৃথক পৃথক অভিযানে ৫ হাজার ৩০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ২টি ট্রলার ও ১টি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় অবৈধভাবে জাটকা বহনের দায়ে আটক করা হয়েছে ৮ ব্যক্তিকে। পরে লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খাঁন আটককৃত ৮ ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আটককৃত জাটকা উপজেলার অসহায়, গরীব, রিক্সা-ভ্যান চালকদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হয়। আর ট্রাক ও ট্রলারগুলো নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস তালুকদার জানান, বুধবার ভোর রাতে লৌহজংয়ের পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে নৌপুলিশ ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ জাটকা ইলিশসহ ২টি ট্রলার জব্দ করে মাওয়া নৌপুলিশ ফাাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবিরের নের্তৃত্বে নৌ পুলিশের একটি দল। পরে শিমুলিয়া ঘাট হতে আরো একটি ট্রাক জাটকা ইলিশসহ জব্দ করা হয়। ২টি ট্রলার ও ১টি ট্রাক হতে প্রায় ৫ মেট্রিক টন জাটকা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, পৃথক অভিযানে ভোরে লৌহজং থানা পুলিশ ৩০০ কেজি জাটকাসহ ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে। পরে এসকল জাটকা স্থানীয় গরীব দুঃখীর মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয় এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটককৃত আটজনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, ট্রলার দুটি পদ্মা নদী হতে রাতভর জাটকা ধরে মাওয়া মৎস্য আড়তের দিকে যাচ্ছিল বিক্রির উদ্দেশ্যে। আর ট্রাকটি শরিয়তপুর থেকে ঢাকার কারওরান বাজারে জাটকা নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫ মেট্রিক টন জাটকাসহ ওই ট্রাক ও ট্রলার হতে ৬ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এদিকে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসাইন জানান, বুধবার ভোরে লৌহজং থানা সংলগ্ন এলাকার পদ্মা নদীর শাখা থেকে ৩০০ কেজি জাটকাসহ দুজনকে আটক করা হয়। এসব অবৈধ জাটকা মাওয়া মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য যাচ্ছিল তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এগুলো আটক করতে সক্ষম হই। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এসকল জাটকা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়।