নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ২য় দিনেও সকাল থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন বাস্তবায়ন কার্যক্রম। ঢাকা-মাওয়া শিমুলিয়া হিলশা মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়ি কিংবা মানুষকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনো যানবাহন আসতে দেখলেই গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। এসময় কোনো কোনো যানবাহনের চালককে নানা অজুহাতে যাতায়াতের চেষ্টা করতে দেখা যায়। লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি নির্দেশনা বা লকডাউন বাস্তবায়ন করতে ২ দিন ধরে ভোর থেকেই মাঠে কাজ করছেন তারা। শিমুলিয়া মোড় মাওয়া-মুন্সীগঞ্জ ও ফেরি ঘাটের প্রবেশমুখে কঠোর চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসময় নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব যানবাহন চলার কথা শুধু সেগুলোই চলতে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে জনসাধারণের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকলেও সচল রয়েছে ফেরি চলাচল। এসব ফেরিতে জরুরি ও নিত্যপণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের নির্দেশ থাকলেও যাত্রীরা মানছে না সেই নির্দেশনা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে শত শত যাত্রীকে ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। তবে সড়কে অনেককেই পাওয়া গেল যারা লকডাউনের ব্যাপারে জানেন না। ফেরিতে আসা যাত্রী মো. জামাল ঢালী জানান, গত ২ মাস আগে থেকে শুনে আসছি লকডাউন। কিছুদিন পরপর দেশে যাই ২ দিন থেকে আবার চলে আসি ঢাকা। কিন্তু পুলিশ আজকের মত এইভাবে আটকাতো না। তিনি ঢাকা নিউমার্কেটে কাপড়ের দোকানে চাকরী করেন। ৩ দিন আগে জরুরি কাজে দেশে গিয়েছিলেন আজ (বুধবার) ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছেন। পথে পুলিশের চেকপোস্টের কারণে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।