নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, নারীনেত্রী শহীদ আইভি রহমানের খুনি ও ২১ আগস্টের গণহত্যায় জড়িত সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এমন মানবতাবিরোধী অপশক্তি আর যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক মোর্শেদা বেগম লিপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, জাতীয় শ্রমিক লীগ শিল্পায়ন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। তৎকালীন বিএনপি-জামাত অশুভ জোট সরকারের শীর্ষপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ষড়যন্ত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, এই নিষ্ঠুর হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। শত শত নেতাকর্মী আহত হন। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে আজো বেঁচে আছেন। গ্রেনেডের স্পিøন্টারে দুর্বিষহ যন্ত্রণায় এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। হাত-পা, চোখ হারিয়ে অনেকেই জীবনমৃত অবস্থায় নিদারুণ কষ্টময় জীবন পার করছেন। আল্লাহতালার অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হারিয়েছেন তাঁর স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি।
তিনি বলেন, সেদিনের বিএনপি-জামাত জোট সরকার, প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্তাব্যক্তি হত্যাকারীদের হামলা করা থেকে শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করে। এমনকি সেদিন হামলায় আহতদের চিকিৎসাপ্রাপ্তির সুযোগ পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বিনা চিকিৎসা এবং অবহেলায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে অনেককেই। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের এমন অমানবিকতা ও পাশবিকতার শিকার হতে হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে। আজকের এই আলোচনা সভা থেকে আহ্বান জানাচ্ছি- নারীনেত্রী শহীদ আইভি রহমানের খুনি ও ২১ আগস্টের গণহত্যায় জড়িত সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এমন মানবতাবিরোধী অপশক্তি আর যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।