নিজস্ব প্রতিবেদক
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সারিবদ্ধ লাইনের দৃশ্য চোখে পড়েছে। এতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৫ কিলোমিটার জুড়ে শুধুই ট্রাক আর ট্রাকের সারি। দক্ষিণবঙ্গের এ নৌরুটে লকডাউনের কারণে জরুরী সেবা দিতে মাত্র ২টি ফেরী চলাচল করছে। এদিকে, পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ফেরী না থাকায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত ট্রাক। দীর্ঘ সময় ঘাটে অবস্থানে ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েছে ওইসব ট্রাকের চালক ও সহকারীরা। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে সুযোগ তৈরির দাবী জানিয়েছে তারা। মাদারীপুরগামী পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো. ফয়সাল বলেন, লকডাউন আমরাও মানি। কিন্তু অন্তত একটি ফেরী দিয়ে শুধু মাত্র ট্রাক পারাপারের ব্যবস্থা করে দিলে দীর্ঘক্ষণ ভোগান্তিতে পড়তে হতো না আমাদের।
অপর আরেক ট্রাকের চালক রহিমা মিয়া বলেন, রাতের বেলা পার করবে বলছে। দিনের বেলা পার করে দিলে আমরা তাড়াতাড়ি মালামালগুলো পৌঁছাতে পারতাম। আমাগো ট্রাকে ড্রাইভার-হেলপার মিলে ৩ জন। ঘাটে বেশিক্ষণ থাকলে খাইতে লাগলে অন্য খরচ আছে। ট্রিপের খরচ বাড়বো।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ঘাটে যেসব ট্রাক আছে সেগুলো রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পারাপার করা হবে। লকডাউনে নির্দেশনা অনুযায়ী দিনের বেলায় দুই ঘাট থেকে শুধুমাত্র ২টি ফেরী চলবে। এসব ফেরী দিয়ে রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।