নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নত-সমৃদ্ধ শিক্ষিত জাতি গঠনে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশে নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ও বিকাশ ঘটেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। তাই শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। পাঁচ ঘরিয়াকান্দি আমিরুল হক পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৪ তলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বাংলাদেশ বিভাগের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, শিক্ষাবিদ মাহফুজুর রশীদ নিলু, অধ্যাপক আব্দুল বাসার, প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কাশেম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী শিক্ষার প্রসার ও বিকাশ এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায়নে বিশ^সভায় এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষিত জাতি গঠনে নারীর শিক্ষাপ্রাপ্তির অবারিত সুযোগ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এ কারণে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার প্রদান করেছে জাতিসংঘ।
তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় গঠিত হয় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতি। জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণের একটি সুন্দর সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। আমাদের মা-বোনেরা ঘরে বসে না থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে আমরাই হবো আগামী পৃথিবীর সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ।
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষার মেরুদন্ড হলো শিক্ষক। শিক্ষা মানব জীবনের মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে তোলে। শিক্ষা মানুষকে অন্ধকারের অচলায়তন ভেদ করে আলোর পথের সন্ধান দেয়। অশিক্ষা মানুষকে পশ্চাৎপদ করে। শিক্ষাহীন জীবন অন্ধত্বের নামান্তর। একজন মানুষ যদি নিজেকে আধুনিক, উন্নত, সভ্য ও অগ্রবর্তী চিন্তার পথিকৃৎ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে সুশিক্ষিত হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে ব্যাপকভাবে আধুনিক সুবিধা-সুবিধা সম্বলিত ও প্রযুক্তিবান্ধব অবাকাঠামো নির্মাণ করে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ও বিজ্ঞানমনস্ক বিশ^মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী প্রজন্ম নৈতিক মূল্যবোধ, জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলুক। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিযাত্রায় অগ্রসরমান আজ বাংলাদেশ। আমরা চাই, তরুণ প্রজন্ম জ্ঞানে-দক্ষতায়-দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলুক। তারা আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে এবং বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দুনিয়ায় সমানতালে একজন জ্ঞানী-সম্মানী মর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ সেটি প্রতিফলিত হবে।