নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সারা পৃথিবীর মানুষকে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বকে দাঁড় করিয়েছে মৃত্যুপুরীতে। এ ভাইরাসে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের জনগণও আক্রান্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর ভয়াল গ্রাসে শ্রীনগরবাসীকেও ব্যাপকভাবে আক্রান্ত করেছে এবং মানুষের জনজীবনকে থামিয়ে দিয়ে বহু মানুষকে করেছে কর্মহীন। লকডাউনে জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই সাময়িক অভাব অনটনে পড়া কর্মহীন ঋষি, কামার, কুমার, বেঁদে, নরসুন্দর, সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়সহ নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে উদার মানসিকতার অধিকারী মানবসেবক শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সফল সভাপতি ও মানবকান্ডারী জহিরুল হক নিশাত সিকদার। মহামারী করোনা ভাইরাস মহাসংকটকালীন দুর্যোগে আড়িয়ল বিলে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকরা শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে না পারায় কৃষকদের পাশে তার নেতাকর্মীদের নিয়ে দাঁড়ায় এ নিশাত সিকদার। তার এ মহানুভবতা দেখে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বাবু নির্মলেন্দু গুহ ও সাধারন সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ঢাকা থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে আড়িয়ল বিলের কৃষকদের ধান কেটে দেয়। কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ধান কাটা দেখে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়। তিনি শুরুতে নিজ বাসায় সম্মুখসহ বাসা সংলগ্ন শ্রীনগর থানা, দেউলভোগ বাজার এলাকার জীবাণুনাশক স্প্রে করা থেকে শুরু করে বাসার সম্মুখে শ্রীনগর ষোলঘরগামী পথচারীদের জন্য জীবাণুনাশক দ্বারা হাত ধৌতকরণ ব্যবস্থা করে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার এলাকায় খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন প্রতিদিন, দুর্যোগকালীন সময়ে পবিত্র রমজান মাসে অভাবগ্রস্ত রোজাদারদের হাতে খাবার বিতরণ ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে অসহায় পরিবারদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান মানবিক সেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জহিরুল হক নিশাত সিকদার। মানবসেবার এ অগ্রসৈনিক নিশাত সিকদার বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক কারণেই করোনাকালীন মহাসংকটময় মুহুর্তে আমার মা বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পৃষ্ঠপোষকতায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছি মাত্র এবং মহান আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দিলে দেশের ক্রান্তিলগ্নে আগামীতেও মানুষের পাশে এভাবেই থাকতে চাই। এই সংকটের সময় অভাবগ্রস্থ মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আমার পরিবারের লোকজন ঈদের কেনাকাটা থেকে বিরত থাকে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবারের মত শুরুটা মায়ের কাছে থেকে। আমার কাছে আমার মা শ্রেষ্ঠ। এটাই তার প্রমাণ। আমার মা বাবার কাছে থেকে জেনেছি সবসময় মানুষের পাশে থেকে কিভাবে মানুষকে উপকার করতে হয়। আর এটা করতে পারলেই কোন মানুষকে আর কোন বিপদে পড়তে হবে না। আমি মূলত বিবেকের টানে মানবিক যেসকল কাজগুলো করি, সেগুলো নিরবেই করে থাকি। কোনরূপ প্রচার প্রচারণার জন্য করি না বা প্রচার চাই না। ব্যক্তি জীবনে সদালাপী পরোপকারী মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শ্রীনগরবাসীর প্রিয় এই মুখ জহিরুল হক নিশাত সিকদারের মানবসেবার এ কার্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন উপজেলাবাসী ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।