নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও উত্তর পাড়া গ্রামে বসতবাড়ীর সীমানাকে কেন্দ্র করে মারপিটে ২ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৯ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টার দিকে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত মোশারফ ও তার স্ত্রী রানীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আহত রানী বেগম বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ৈগাঁও উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত ছলিম শেখের ছেলে মোশারফের সাথে বসতবাড়ীর সীমানা নিয়ে মৃত করিম শেখের ছেলে আনোয়ারের বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে চাচাতো ভাই আনোয়ার সীমানা না মেপে নতুন একটি বসত ঘর তোলার জন্য ভুক্তভোগী মোশারফের বসত ঘরের সামনে এসে খুঁটি বসাতে শুরু করে। ঐ সময় মোশারফের বৃদ্ধা মা নাজমা বেগম নিষেধ করায় আনোয়ারের ভাই সোহেল ধাক্কা মেরে বৃদ্ধা নাসিমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন মোশারফ প্রতিবাদ করলে আনোয়ার, সোহেলসহ সোহেলের স্ত্রী ময়না বেগম লাঠি, কাঠের ডাসা, লোহার শাবল দিয়ে আক্রমণ করে মোশারফকে মারপিট করে আহত করে। এ সময় মোশারফের স্ত্রী রানী বেগম তার স্বামীকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে সোহেল কাঠের ডাসা দিয়ে মেরে রানীর বাম হাতে গুরুতর জখম করে। এ সময় ময়না আহত রানীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত মোশারফ ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে শ্রীনগর থানায় এসে আনোয়ার গংদের বিরুদ্ধে মোশারফের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিকালে অনুামানিক আড়াইটার দিকে মোশারফ ও তার স্ত্রী নিজ বাড়ীতে যাওয়ার সাথে সাথে পুনরায় আনোয়ার, সোহেল, ময়নাসহ আনোয়ারের ভগ্নিপতি রহমান, বোন পারভীন, ভাগিনা ইমনসহ আরো ৩/৪ জন হাতে দা, লোহার রড, কাঠের ডাসা নিয়ে মোশারফ ও তার স্ত্রীর উপরে হামলা করে এবং ইমনের হাতের দা দিয়ে রানীর মাথায় কোপ মেরে গুরুতর জখম করে। রানী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্যান্যরা রানীকে শাবল, কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে প্রতিবেশী আমির হোসেন, আঃ জব্বার, আলী আকবরসহ আরো লোকজন এগিয়ে আসলে আনোয়ার, সোহেল গং চলে যায়। পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়তুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন পূর্বের ঘটনাতো এখন আমার স্মরণে নেই। আপনার তদন্তকারী অফিসার এস, আই আব্দুল কাদিরের নিকট থেকে একটু জেনে নেন। এস আই কাদিরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।