সম্মানহানীর জন্য আইনী ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান লতব্দী ইউনিয়নের ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণে ডিলার বাদল মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ফেইসবুকে প্রচার করেছে একটি পক্ষ। অনিয়মের ঘটনার সাথে ইউপি চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার করা হয়েছে তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সোহরাব হোসেন। ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয় করে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারগণ। চাউল বিতরণকালে উপস্থিত থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যগণ। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তার সম্মানহানী হয়েছে বলে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। গত ১৯ এপ্রিল রবিবার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউল চুরির অভিযোগ এনে পোষ্ট করা হয়, যা কিনা এ উপজেলায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
লতব্দী ইউনিয়ন ৪ ওয়ার্ডের ডিলার বাদল মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার স্ত্রী জোসনা মন্ডল জানান, পূর্ব শত্রুতার কারণে একটা পক্ষ আমার স্বামীর বিরোধিতা করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফেইসবুকে অপপ্রচার করছে।
এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। আমার উপস্থিতিতে খাতায় টিপসই ও স্বাক্ষর দিয়ে চাউল নিয়েছে কার্ডধারীরা। ৭ জন এখনো চাউল নেয়নি। আমি গোডাউন দেখে এসেছি সেই ৭ বস্তা চাউল আছে। ডিলারের ঘরের ছবি তোলা আছে সেখানেও কোন চাউল লুকিয়ে রাখেনি।
লতব্দী ইউপি ১নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলী, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর খান, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আলী ও ৯নং সদস্য মোঃ মিয়ার হোসেন জানান, চাউল বিক্রয়ে কোন অনিয়ম হয়নি। এমন কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা যাদের কার্ড দিয়েছি তারা কেউতো আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। চাউল দেওয়ার সময় আমরা দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছি, খাতায় স্বাক্ষর করেছি।
এ বিষয়ে লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোহরাব হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণের ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্রয়ের অভিযোগ ফেইসবুকে প্রচার করা হয়েছে। সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার করা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় করে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলার। আমি ওয়ার্ড মেম্বারদের ও ট্যাগ অফিসারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি চাউল বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নাই। তারপরও বলতে চাই যদি কোন প্রকার অনিয়ম প্রমাণ হয় সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে। কিন্তু এর সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অশালীন কথাবার্তা প্রচার করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও নির্বাচনী প্রতিপক্ষের শত্রুতামূলক আচরণ। এতে আমার তিন প্রিয়ডের সুনামের সাথে চেয়ারম্যানি ও আমার ব্যক্তিগত সামাজিক মানসম্মানে আঘাত হানা হয়েছে। আমি আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সত্য উদঘাটন হলে ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ দুঃসময়ে কেউ চাউল বা ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করলে তারা মানুষের মধ্যে পড়ে না।