নিজস্ব প্রতিবেদক : সিরাজদিখানে পিচ ঢালাই সড়ক নির্মাণের এক মাসের মাথায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নির্মাণের পর প্রথম বর্ষায় সড়কের কমপক্ষে ৬টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের ছোটপাউলদীয়া – বাহেরঘাটা গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া এই সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও গর্ত, ফাটল, দেখা দিয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিস ঠিক মত তদারকি না থাকায় ঠিকাদারের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে,গ্রেডার ঢাকা জিডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে ২ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬ শ ৬১ টাকা ব্যয়ে ছোটপাউলদিয়া থেকে বাহেরঘাটা পর্যন্ত ২৯৭৫ মিটার, কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ কাজটি করে মের্সাস আরাফাত আজম।
সড়কের বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজী কৌশিক আহাম্মেদ কে ফোন দিলে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি তার ক্ষমতার দাপট দেখান এবং বলেন বড় বড় সাংবাদিকদের চেনা জানা আছে। আপনে কোন প্রত্রিকায় কাজ করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, সড়কের কয়েকটি স্থান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে নির্মাণের একমাসের মধ্যেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানেই কার্পেটিংয়ের সিলকোড পাথর উঠে গেছে। মূল সড়কের দুপাশে ৩ ফিট করে রাস্তা বাধার কথা থাকলে কোথাও দেখা যায়নি। ভাঙ্গন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নিয়ম মাফিক রাস্তার কাজ না করায় অল্প বৃষ্টিতে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। এগুলো সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। উপজেলার এলজিইডির কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারের যোগসাজসে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
ঠিকাদার কাজী কৌশিক আহাম্মেদ বলেন, কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। বর্ষায় টানা বৃষ্টিতে নির্মিত সড়কের কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে। বৃষ্টির কারণে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখনো কাজ বুঝিয়ে দেইনি। যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করে বুঝিয়ে দিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, বৃষ্টিতে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতভাগ কাজের মান ঠিক রাখা সম্ভব নয়। তবে যতটুকু সম্ভব কাজের গুনগত মান ঠিক রেখেই উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিকাদারকে রাস্তা ঠিক করে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সিরাজদিখানে নির্মাণের ১ মাসের মাথায় সড়কে ভাঙ্গন ও ফাটল
আগের পোস্ট