নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের নাইশিং গ্রামে প্রবেশের শাখা কাঁচা রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানির কারণে রাস্তাটির বেশ কয়েকটি স্থানে খানা-খন্দে জর্জরিত হয়ে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নাইশিং গ্রামের কয়েকশত মানুষ যাতায়াতে নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তাটি ইটের সলিং করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ নাইশিং ঢালী বাড়ী থেকে কাজী বাড়ী পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গতকাল রবিবার দুপুরে মালখানগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান রাব্বির উদ্যোগে স্বেচ্ছায় মালখানগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের অনিক শেখ, শাকিব, সোহাগ, ইমন, ইয়ামিন, মালেক কাজীসহ আরো বেশ কয়েকজন রাস্তাটি সংস্কার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাইশিং ঢালী বাড়ী থেকে কাজী বাড়ী পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও রাস্তাটির সংস্কারে কাউকেই তেমন মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। কর্দমাক্ত এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন নাইশিং গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশত মানুষ চলাচল করেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কোমলমতি শিশুদের যাতায়াতে প্রায় সময় বেকায়দায় পড়তে হয়। বিশেষ করে গ্রামের কোন অসুস্থ রোগী কিংবা গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে নিতে অনেকটাই বেগ পেতে হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময কাদা মেখে তাদের স্কুলের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির পানির কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমাট বাধার কারণে প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার কয়েশত মানুষ। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে এ রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর তাদের কারোরই দেখা মেলে না। রাস্তাটি ইটের সলিং করে দেওয়ার দাবী জানাই।
মালখানগর ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সায়েম শিকদার মুঠোফোনে বলেন, সরকারীভাবে যতটুকু বরাদ্দ আসে এবং নিজের পকেট থেকে মিলিয়ে রাস্তাটির সংস্কার করেছি। কয়েকমাস ধরে বরাদ্দ আসে না। বরাদ্দ আসলে করবো। তারপরও রাস্তাটির ১২শত ফুটের মত ইটের সলিং করা হয়েছে।