নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজংয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই উপজেলার ইউপি নির্বাচন। চতুর্থ ধাপে এই নির্বাচনে ২৩টি ইউনিয়নে কোনো প্রকার হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রোববার মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণকালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডেও চর খাসকান্দি নৌকার সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে ডিবি, র্যাব ও পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় নৌকার সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছুঁড়লে পরে পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ আনতে ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এছাড়া ইছাপুরা, জৈনসার ও মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নে নৌকার সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ২৩টি ইউনিয়নের সব কয়টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩টি ইউপির বিপরীতে ৮৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে ৯৪৮ জন বিভিন্ন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ভোটের মাঠে। ২২৫টি ভোটকেন্দ্রে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৭ জন নারী ও পুরুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দুই উপজেলায় ৮ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এছাড়া ৬ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন র্যাব, ৩২টি পুলিশের মোবাইল টিম, ৮টি স্টাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম নজরদারির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ছিলো। এছাড়াও নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ১৩শ পুলিশ সদস্যসহ এবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের মোট প্রায় ৫ হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।