নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন এমন দাবি করে তাকে স্বপদে বহলের দাবিতে ২য় দিনের মত বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকাস্থ হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে কয়েক’শো শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছে। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তা অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট শনিবার হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান চৌধুরী পদত্যাগ করেন -এ খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকই আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীরা ভিসিকে স্বপদে বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে, যাতে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থী মোঃ আবির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের অনুষদের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাস করার পরেও আমরা ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাচ্ছি না। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিষয়টির সমাধানে ডিজি হেলথ বরাবর আমরা লিখিত আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় তারা। কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় এগারো মাস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখতে পাইনি আমরা। সম্প্রতি আমাদের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী আমাদের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। আমরা নিশ্চিত তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী মোঃ রাব্বি ইসলাম প্রিমন বলেন, গত ১৭ দিন যাবৎ আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। এর আগে আমাদের ৫ দফা ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেন না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আরেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আফতাব আহমদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ হবার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি ছিল। সেই দাবির পাশাপাশি ভিসি স্যারকে স্বপদে বহাল করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, শিক্ষার্থীদের একাধিক দাবি আমরা পূরণ করেছি। আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশনও হয়ে যাবে। এখন ভিসি স্যারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে সরকার।