নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্পিত সম্পত্তিতে ঘর তুলে বেআইনিভাবে দখলকারীদের বাধা দেওয়ায় সন্ত্রসীরা দুজনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে ও অপর ৩ জনকে জখম করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, টঙ্গীবাড়ি থানার অধীন ৩৬ নং আমতলি মৌজার সি.এস. ৪১ ও আর.এস. ৪৭ দাগের ১১৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৮৭ শতাংশ জমির মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ দেওয়ান যার আর.এস ৩০৬ নামজারী জমাভাগ ও খতিয়ান ৩০৬/১। ১৯৮২ সালে ভোগ দখল থাকা অবস্থায় জনৈক হাসান বানুর স্বামী হযরত আলী বেপারিকে ১ শতাংশ জমিতে বসবাস করার জন্য আশ্রয় দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বর্তমানে মৃত হযরত আলী বেপারি স্থানীয় ও তহসিল অফিসের অসৎ কর্মচারীদের যোগসাজশে ১২৩/১৯৮২ ভিপি কেস মূলে অবৈধ লিজ নিয়ে ৩২ শতাংশ জমির লিজ দাবি করে। এমতাবস্থায় উক্ত অবৈধ লিজ বাতিলের জন্য প্রকৃত লিজ গ্রহীতা মোঃ হারুন অর রশিদ দেওয়ান মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী মামলা ০২/২০০৩ দায়ের করলে গত ০১/১২/২০১০ ইং তারিখে তার রায়ে ১২৩/১৯৮২ ভিপি লিজ কেসটি বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন। অতঃপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ র্কোট অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ অতিরিক্ত আপিল ট্রাইব্যুনালে ৩০১/২০১২ নং কেসটি রায়ের বিরুদ্ধে ২৪/২০১৪ নং আপিল মোকদ্দমা দায়ের করিলে হারুন অর রশিদ তাহার দলিলপত্র দ্বারা আপিল মোকদ্দমা জেলা প্রশাসকের দায়ের করা ২৪/২০১৪ নং আপিল মোকদ্দমা খারিজ করিয়া হারুন অর রশিদ এর পক্ষে মালিকানার স্বত্ত্ব ঘোষণা করা হয়। এবং ১২৩/৮২ ভিপি লিজ কোসর্টি বাতিল করা হয়। এরপর গত ২ আগস্ট ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে উক্ত জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক ঘর তুলে দখল নিবার প্রচেষ্টা চালালে এতে হারুন অর রশিদ বাধা দিলে বিবাদী পক্ষ হামলা চালিয়ে ২ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করে, অপর তিনজনকে আহত করে। পরে হারুন অর রশিদ মোঃ শহিদ বেপারীকে প্রধান আসামি করে ও অপর ৬ জনসহ টঙ্গীবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং ০১ তারিখ ০৩/০৮/২০২০। পরে পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং বাকিরা পালাতক রয়েছে। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত হামলার ঘটনায় মারাত্মক আহত মাকছুদা বেগম (৫০) কে প্রথমে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমúেøক্সে ভর্তি করার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টঙ্গীবাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় গুরুতর জখমে গুরতরভাবে আহত হয় মাকসুদা বেগম এবং মারাত্মক আহত হন হারুন অর রশিদ।